নোয়াখালীতে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরীর (১৫) গর্ভে থাকা ২৯ সপ্তাহের শিশু হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) রাতে নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। রাতেই ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শুক্রবার (১০ জুলাই) দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবনীতা গুহের আদালতে উপস্থিত করা হলে ওই চারজনকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-উর-রশিদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১১ নম্বর দূর্গাপুর ইউনিয়নের দিনমজুর বাবার মেয়েকে (১৫) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে একই এলাকার মো. আকাব্বর বেপারীর ছেলে কায়সার হামিদ (২২)। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে।
এরপর অভিযুক্ত কায়সার কৌশলে তার আরেক সহযোগী কমল সিংহের মাধ্যমে ওই কিশোরীকে চৌমুহনীর নারী হোমিও চিকিৎসক জেসমিন আক্তারের বাসায় নিয়ে যান।
সেখানে নিয়ে ওষুধ প্রয়োগ করে গর্ভপাত ঘটানো হয়। পরবর্তীতে ঘটনাটি এলাকায় গ্রাম্য সালিশে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। সালিশে মীমাংসা না হওয়ায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-উর-রশিদ চৌধুরী জানান, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নারী হোমিও চিকিৎসক ও দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- হোমিও চিকিৎসক জেসমিন আক্তার, কায়সারের সহযোগী কমল সিংহ, সালিশদার ইউপি সদস্য মুকবুল আহম্মদ ও মো. ফারুক।
ওসি হারুন-উর-রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের আজ আদালতে প্রেরণ করা হলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবনীতা গুহ। একই সঙ্গে ওই ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’