জামালপুরে শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মহিউদ্দিন (৫৫) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনি জেলার সরিষাবাড়ী পৌরসভার মাইজবাড়ী গ্রামের মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে এবং সরিষাবাড়ী পৌরসভার কোনাবাড়ী দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
এদিকে সর্বশেষ প্রতিবেদনে জামালপুরে নতুন করে আরো আটজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় পাঁচজন, ইসলামপুর উপজেলায় একজন, মেলান্দহ উপজেলায় একজন ও বকশীগঞ্জ উপজেলায় একজন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৬৯ জন।
অন্যদিকে সর্বশেষ একজনসহ করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয়জন এবং মৃত ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে চারজনের। এছাড়াও সর্বশেষ দু’জনসহ মোট সুস্থ হয়েছে ৪৩৮ জন
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জামালপুর স্বাস্থ্য বিভাগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে ১ জুলাই মহিউদ্দিনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। পরে ওই রাতেই তাকে জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তার দুই ছেলে কাউছার ও কাফি মিয়াও একই সেন্টারে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার দুই ভাইকে সুস্থতার সনদ দিয়েছে ওই আইসোলেশন সেন্টার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাবার শারীরিক অবস্থা শঙ্কটাপন্ন হওয়ায় তারা বৃহস্পতিবার সকালে আইসোলেশন সেন্টার ত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। রাতে তাদের বাবার মৃত্যুতে দুই ভাই কান্নায় মূর্ছা যান। তারা দু’জন রাতেই তাদের বাবার লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে যান।
এ ব্যাপারে ওই করোনা আইসোলেশন সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাক্তার মাহফুজুর রহমান সোহান সাংবাদিকদের জানান, মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি আগে থেকে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট ও মানসিক রোগে ভুগছিলেন।
জামালপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার প্রণয় কান্তি দাস সাংবাদিকদের জানান, আইসোলেশন সেন্টারে মৃত মহিউদ্দিনের লাশ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করা হবে। এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউএনও এবং থানার ওসির সাথে পরামর্শ করে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করবেন।