জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আজ যদি কেউ বলে দেশে সুশাসন আছে, তাহলে সে মিথ্যা বলবে। তিনি প্রশ্ন করেন, এ রকম শাসনকে কি সুশাসন বলে? দেশে আজ কোনো সুশাসন নেই, বলেন তিনি।
তিনি আজ বুধবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট বার অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ মানবাধিকার ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।
প্রবীণ আইনজীবী ও বাংলাদেশের সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, মানবাধিকার মানে কি পুলিশকে এভাবে ব্যবহার করা? এ কারণে আপনাদের বিচার হবে, শাস্তি হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর আজ কেন এ কথা বলতে হবে? মানবাধিকার রক্ষার জন্য কেন আজ ধন্যবাদ দিতে পারছি না? পুলিশকে এভাবে ব্যবহার না করে যদি বলেন ৩০০ আসন চান তাহলে আমরা সেটাই হাত তুলে মেনে নেব। এটা নির্বাচনের নামে প্রহসন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে ড. কামাল বলেন, আপনি বলেছেন আপনি আরো পাঁচ বছর থাকতে চান, আপনার কিছু অসমাপ্ত কাজ রয়েছে। আমরা যদি এটা মেনে নিই, তাহলে পাঁচ বছর পর আবারো বলবেন, আরো পাঁচ বছর থাকতে চান। আরো কাজ রয়েছে।
ড. কামাল বলেন, কী বলব, এসব দেখতে হচ্ছে, এসব সইতে হচ্ছে। এটাই আমার শাস্তি।
নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আইনের শাসন ও ভোটের অধিকার রক্ষা করুন। স্বাধীন দেশের মানুষ যদি ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়, তা স্বাধীনতার উপর আঘাত। এটা দেশদ্রোহিতার শামিল। পুলিশকে এভাবে ব্যবহার বন্ধ করা হোক। নির্বাচনের সময় সব ক্ষমতা ইসির। এটা আপনাদের সাংবিধানিক অধিকার। এটা প্রয়োগ করুন। নির্বাচনের আর মাত্র ১০ দিন বাকি। নির্বাচন কমিশনের যে ক্ষমতা আছেন তাতে সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করলে তা দেখার ক্ষমতা আছে। পুলিশকেও পরিচালনার ক্ষমতা আছে ইসির। এ ১০ দিন দেশের আর দেশের স্বাধীনতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন ভালো হলে দেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে, এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান ড. মো: শাজাহানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিপপের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার ইকতেদার আহমেদ, সুপ্রিম কোর্ট বারের সহ-সভাপতি ড. গোলাম রহমান ভূঁইয়া, আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব ড. ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।