অনেক প্রথমের মতোই সাকিব আল হাসানের হাত ধরে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে যাত্রা শুরু টাইগার ক্রিকেটারদের। ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো আলোর মুখ দেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টুর্নামেন্ট। ততদিনে টি-টোয়েন্টির হটকেক সাকিব। ফলে টাইগার এই সেরা অলরাউন্ডারকে প্রথম আসরে দলে টানে বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস।
সাকিব থেকে শুরু হয়ে সিপিএলের আসরে এরপর থেকে মোটামুটি নিয়মিত খেলতে থাকে টাইগাররা। সাকিবের পাশাপাশি তামিম ইকবাল এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও নিয়মিত মুখ হয়ে ওঠে সিপিএলের। শুরুর পর থেকে ২০১৪-১৫ সাল ছাড়া প্রতি আসরে কোনো না কোনো টাইগার ক্রিকেটার প্রতিনিধিত্ব করেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টুর্নামেন্টে। দীর্ঘদিন পর আবার কোনো বাংলাদেশি খেলছেন না ক্যারিবিয়ান এই টি-টোয়েন্টি লিগে।
সাকিব প্রথম বছর বার্বাডোজে খেলার পর জ্যামাইকা তালাওয়াজের জার্সিতে খেলেছে দুই বছর। এরপর আবার ফিরে যান বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসে। এবারও প্লেয়ার্স ড্রাফটে নাম দেওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের সেরা এই ক্রিকেটার। তবে নিষেধাজ্ঞার খড়গ থাকায় সাকিবের অংশ নেওয়ার আর কোনো সুযোগ ছিলো না। সিপিএলের ইতিহাসে সেরা বোলিং ফিগারের (৪ ওভার ৬ রানে ৬ উইকেট) মালিক এই টাইগার ক্রিকেটার।
এদিকে প্রতিবারের মতো এবারও সিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে নিজের নাম দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এর আগে ভিন্ন দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলা এই ক্রিকেটার এবার ছিলেন উপেক্ষিত। সিনিয়র এই ক্রিকেটার ছাড়াও চলতি বছরের সিপিএলে খেলতে ১৮ জন টাইগার ক্রিকেটার নাম দিয়েছিলেন। এর মধ্যে দুটি নাম ছিল একদম নতুন।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে গত মৌসুমে দারুণ খেলা নাসুম আহমেদ এবং মেহেদি হাসান রানার নাম এবার প্লেয়ার্স ড্রাফটে যুক্ত করা হয়েছিল। তবে সুযোগ মেলেনি তাদেরও। এদিকে গত মৌসুমে দল পেলেও আন্তর্জাতিক সূচি থাকায় খেলতে পারেননি আফিফ হোসেন। এবার অবশ্য প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকেই বাদ পড়লেন।
১৮ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া আসন্ন মৌসুমে সিপিএলের প্রতিটি দল পাঁচজন করে বিদেশি ক্রিকেটার দলে রাখতে পারবে। সেই কৌঠা পূর্ণ করে গতকাল দল ঘোষণা করেছে ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজি। তবে কোনো টাইগার ক্রিকেটার নেই তাতে। আর এতে কী বিপুল পরিমাণ দর্শক হারাবে না ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ!