শেরপুরের নকলায় নতুন করে ২ জনসহ করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) এ আক্রান্ত সনাক্ত হলেন ৪৯ জন। কোভিট-১৯ এ নতুন আক্রান্তরা হলেন স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক (এএইচআই) ইসরাত জাহান ও পৌরসভার ফেরুসা এলাকার ফজলু মিয়া। জানা গেছে, নতুন আক্রান্ত ইসরাত জাহান শেরপুর জেলা শহর থেকে এসে অফিস করেন এবং ফেরুসা এলাকার কৃষক ফজলু মিয়া উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের কর্মচারী করোনা জয়ী হারুনুর রশিদের শ্বশুর।
নতুন সনাক্ত হওয়া ২ জন নিয়ে উজেলার ৩ জন ডাক্তারসহ স্বাস্থ বিভাগের ৭ জন, সমাজ সেবা অফিসের মাঠসহকারী ও কর্মচারী ৩ জন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের ও উপজেলা পরিষদের একজন করে কর্মচারী ও ২ পুলিশ সদস্যসহ মোট ৪৯ জন কোভিট-১৯ এ আক্রান্ত সনাক্ত হলো। এর মধ্যে এক নারী তার পজেটিভ রিপোর্ট আসার আগেই মারা গেছেন। তাছাড়া গতকাল ৫ জুলাই রোববার ২ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে নকলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরাসহ উপজেলার মোট ৪২ জন করোনা জয়ী সুস্থ হয়ে ফিরেছেন।
নকলা হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট আবু কাওসার বিদ্যুৎ জানান, করোনা সংক্রমণ সন্দেহে সোমবার (৬ জুলাই) পর্যন্ত উপজেলার মোট ৭০৪ জনের দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে কোভিট-১৯ এ আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছে ৪৯ জনের। এর মধ্যে এক জন মারা গেছেন, ৪২ জন সুস্থ হয়ে ফিরেছেন, আর বাকি ৬ জন হোম আইশোলেসনে চিকিৎসাধীন আছেন। আইশোলেসনে থাকা সকলেই আপাতত সুস্থ আছেন বলে আবু কাওসার বিদ্যুৎ জানান।
উপজেলা স্বাস্থ ও প.প কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, নকলায় করোনা সংক্রমনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর কারন হিসেবে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা ও মাস্ক ব্যবহার না করাকে তিনি দায়ী করছেন। তাই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সকলকে মাস্ক ব্যবহারসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সকলে প্রতি অনুরোধ জানিয়ছেন উপজেলা স্বাস্থ ও প.প কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মজিবুর রহমান। তাছাড়া অপ্রয়োজনে বাড়ির বাহিরে বেড় না হতে ও অযথা অড্ডা না দিতেও সকলকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।