নেত্রকোনার মদন পৌর শহরের পৃথক স্থানে এক দিনের ব্যবধানে ইঞ্জিনচালিত নৌকা (ট্রলার) থেকে পানিতে পড়ে নিখোঁজ শিশু ও বালু ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার দুপুর ১২টার দিকে ময়মনসিংহের ডুবুরি দল শিশুটির লাশ ও বেলা দুইটার দিকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে। ব্যবসায়ী নিজেই ট্রলার চালাচ্ছিলেন।
শিশুটির নাম অন্তু মিয়া (৭)। সে মদন পৌর শহরের মাখনা মাইজপাড়া গ্রামের মঞ্জিল মিয়ার ছেলে। আর বালু ব্যবসায়ীর নাম আমিনুর রহমান (২৮)। তিনি মদন পৌর শহরের মনোহরপুর এলাকার মৃত শফর উদ্দিনের ছেলে।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার বিকেলে মাখনা গ্রামের সামনে ধলাই নদে শিশু অন্তু মিয়া পরিবারের সঙ্গে নিজেদের ট্রলারে করে ঘুরতে বের হয়েছিল। অন্তুর দাদা আব্বাস আলী ট্রলারটি চালাচ্ছিলেন। বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ট্রলারটি চালানোর একপর্যায়ে বাঁক নেওয়ার সময় ভারসাম্য না রাখতে পেরে ছোট্ট অন্তু ছিটকে পানিতে পড়ে নিখোঁজ হয়। এলাকার লোকজন বিভিন্ন ধরনের জাল দিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান না পেয়ে ময়মনসিংহের ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেয়। ডুবুরিরা আজ দুপুর ১২টার দিকে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেন।
অপর দিকে বালু ব্যবসায়ী আমিনুর রহমান নিজস্ব ট্রলারে করে বালু পরিবহন করে থাকেন। অন্য দিনের মতো আজ সকালে বালু আনতে নিজ বাড়ি মনোহরপুর থেকে ফতেপুরের উদ্দেশে রওনা হন। তিনি নিজেই ট্রলার চালাচ্ছিলেন। পথে সকাল ছয়টার দিকে মগড়া নদীর ওপর নির্মিত দৌলতপুর কালীবাড়ি সেতুতে পৌঁছালে সেতুর সঙ্গে ট্রলারের ধাক্কা লাগে। এতে আমিনুর নদীতে ছিটকে পড়ে নিখোঁজ হন। স্থানীয় লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান না পেয়ে মদন উপজেলা ফায়ার স্টেশনে খবর দেন। পরে ময়মনসিংহের ডুবুরি দল বেলা দুইটার দিকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রমিজুল হক জানান, পানিতে পড়ে নিখোঁজ শিশু ও বালু ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।