বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ২৫ নেতাকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে সুযোগ দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিটের শুনানি শেষে তাদের প্রার্থিতা বাতিলে নির্বাচন কমিশনে করা রিটকারীদের আবেদন তিন দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।
এর আগে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ চারজন নিবন্ধন হারানো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ২২ নেতাকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে সুযোগ দেয়ার বৈধতার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন জানানো হয়। কিন্তু সে আবেদনের ওপর কোনো সাড়া না পেয়ে জামায়াত নেতাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
রিটে নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমীর, সেক্রেটারি জেনারেল ও মনোনিত ২৫ প্রার্থীসহ মোট ২৯ জনকে বিবাদী করা হয়।
প্রার্থীরা হলেন, দিনাজপুর-১ মোহাম্মদ হানিফ, দিনাজপুর-৬ মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী-২ মনিরুজ্জামান মন্টু, নীলফামারী-৩ মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, গাইবান্ধা-১ মাজেদুর রহমান সরকার, সিরাজগঞ্জ-৪ মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, পাবনা-৫ মাওলানা ইকবাল হুসাইন, ঝিনাইদহ-৩ অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, যশোর-২ আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, বাগেরহাট-৩ অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াদুদ, বাগেরহাট-৪ অধ্যাপক আবদুল আলীম, খুলনা-৫ অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা-৬ মাওলানা আবুল কালাম আযাদ, সাতক্ষীরা-২ মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, সাতক্ষীরা-৩ মুফতি রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা-৪ গাজী নজরুল ইসলাম, পিরোজপুর-১ শামীম সাঈদী, ঢাকা-১৫ ডা. শফিকুর রহমান, সিলেট-৬ মাওলানা হাবিবুর রহমান, কুমিল্লা-১১ ডা. আবদুল্লাহ মো. তাহের, চট্টগ্রাম ১৫- আ ন ম শামসুল ইসলাম এবং কক্সবাজার-২ হামিদুর রহমান আযাদ। এছাড়াও স্বতন্ত্র ৩ প্রার্থী হলেন, পাবনা-১ ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন, চট্টগ্রাম-১৬ জহিরুল ইসলাম এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ নুরুল ইসলাম বুলবুল।