শুরুতেই হরিলুট : উদ্বোধন করতে গিয়ে সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ করলেন হুইপ আতিক

Sherpur-Horilutনিম্নমানের কাজ করে বিলের টাকা তুলে নেয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের সরদার দলীয় হুইপ আতিউর রহমান আতিক। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে অন্যায়ভাবে সুবিধা দেয়া বন্ধ করতে সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারীও দিয়েছেন তিনি। আজ দুপুরে শেরপুর-জামালপুর সড়কের শিমুলতলী ও পোড়াদাহ সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় নিম্নমানের পাথর ও কাঁচামাল ব্যবহারের অভিযোগে সেতু নির্মাণের সকল কাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দেন হুইপ আতিক।

এসময় হুইপ বলেন, সড়ক ও জনপদের স্থানীয় কর্মকর্তারা অবৈধ সুবিধা দিয়ে ঠিকাদারদের এসব কাজ করাচ্ছেন। এখানে ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নেই। তাই নতুন কাঁচামাল আসা পর্যন্ত সকল নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

শেরপুরের সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জামালপুর-শেরপুর-বনগাঁও (আর-৪৬০) সড়কের শিমুলতলী ও পোড়াদাহ এলাকায় বর্ষার সময় ব্রহ্মপুত্রের পানি প্রবাহের জন্য দুটি কজওয়ে (নিচু রাস্তা) নির্মাণ করা হয়। যা প্রতি বছর বর্ষার মৌসূমে পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুই জেলার সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই সমস্যা নিরসনে দুই কজওয়েতেই সেতু নির্মাণের অর্থ বরাদ্দ করে সরকার।

Sherpur-Horilut

শেরপুরে উদ্বোধন করতে গিয়ে নিম্নমানের কাজ দেখে সেতু নির্মাণের সকল কাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দেন হুইপ আতিক।

সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের অধীনে দুটি সেতুরই নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় মোজাহার এন্টারপ্রাইজ (প্রাঃ) লিমিটেড নামের একই প্রতিষ্ঠান। আঠারো মাসের প্রকল্প মেয়াদে শিমুলতলী সেতুতে ১২৫.৪৯৭ মিটার দৈর্ঘ্যে ১৮ কোটি ৭৫৮ লক্ষ টাকা ও পোড়াদাহ সেতুতে ১২৫.৪৯৯ মিটার দৈর্ঘ্যে ২০ কোটি ৯২৩ লক্ষ টাকা প্রকল্প মূল্য ধরা হয়েছে।

এদিকে কাজ শুরুর পর থেকেই নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহার ও পুরোনো রাস্তার পাথর ব্যবহারের অভিযোগ করে স্থানীয়রা। রপ্তানী করা পাথর ব্যবহারের পরিবর্তে শেরপুর সীমান্তের অবৈধ পাথর ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে দুটি সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করতে গিয়ে এসব অভিযোগের সত্যতা পান শেরপুর সদর-১ আসনের এমপি ও সরকার দলীয় হুইপ আতিউর রহমান আতিক। এসময় তিনি নিজে পাথর খুঁড়ে নিম্নমানের পাথর ব্যবহারের ব্যপারে নিশ্চিত হোন এবং কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন।

নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহারের বিষয়ে শেরপুর সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, যেসব কাঁচামালের ব্যপারে অভিযোগ পাওয়া গেছে, সেসব কাঁচামাল দ্রুত সময়ের মধ্যে সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেইসাথে প্রকল্পে উল্লেখ করা কাঁচামাল সরবরাহের পর আবার কাজ শুরুর ব্যপারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অবৈধ পাথর ব্যবহারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, অবৈধ পাথর সরবরাহের ব্যপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব। এ বিষয়ে তারা ব্যবস্থা নিবে।

Share this post

scroll to top