সীমান্ত নিয়ে ভারত-নেপালের মধ্যে চলছে উত্তেজনা। এর মধ্যে নেপালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের ভারতের সীমানার মধ্যে এনে কবর দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, ভারতের উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরির কাছে গৌরিফ্যান্টা এলাকায় দুধওয়া বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের কাছ দিয়ে মোহনা নামের একটি নদী বয়ে গিয়েছে। এই নদী সম্প্রতি তার গতিপথ পরিবর্তন করেছে। এর ফলে এই নদীর পাড় আগে নেপাল সীমান্তের অন্তর্ভুক্ত হলেও বর্তমানে তা ভারতের অংশে পড়ছে।
কিছুদিন আগে কয়েকজন নেপালি করোনায় মৃত এক ব্যক্তির দেহ ভারতে কবর দিতে নিয়ে আসে। তাদের আটকানো হলে তারা জানায়, মোহনা নদী যে গতিপথ পরিবর্তন করেছে তা তাদের জানা ছিল না। তাই ওই এলাকাকে নেপালের অংশ ভেবে সেখানে মৃতদেহ কবর দিতে নিয়ে এসেছেন তারা।
নেপাল ঘেষা ভারত সীমান্তে দায়িত্বে থাকা সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) পরে ওই নেপালিদের ফেরত পাঠিয়ে দেয়। এর পাঁচদিন পরে ফের একই ঘটনা ঘটে। এবার সে দেশে করোনায় মৃত ১১ বছরের একটি ছেলের মৃতদেহ ভারতে কবর দিতে নিয়ে আসা হয়।
বিএসএফ এবারও তাদের আটকালে আগের ব্যাখ্যা দেয় নেপালিরা। তবে এবারের ঘটনা সন্দেহ বাড়ায় এসএসবি সদস্যদের মনে। কারণ সাধারণ গ্রামবাসী নয়, নেপালের কয়েকজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এ লাশ কবর দিতে এসেছিলেন।
দুধওয়া বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের ডেপুটি ডিরেক্টর মনোজ সোনকার জানান, পরপর দুবার এই ধরনের ঘটনার পর এই সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নেপালি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেই তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।
সশস্ত্র সীমা বলের ৩৯তম ব্যাটালিয়নের কমান্ডার মুন্না সিং বলেন, নেপালি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা এ বিষয়ে বৈঠক করেছি। তারা তাদের সীমানায় সাইনবোর্ড টাঙিয়েছে এবং তারা আশ্বস্ত করেছে যে আর কোনো নেপালি নাগরিককে ভারতে কবর দেবে না।