ছাগলের পিতৃত্ব পরীক্ষার দাবিতে মামলা দায়ের করেছেন এক নারী।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার বাসিন্দা ক্রিস হেডস্ট্রোম তার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে হাস্যকর এই মামলা করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন।
গত বছর ডিসেম্বরে ক্রিস তার প্রতিবেশি খামারি হিদার ডেনারের কাছ থেকে ৯০০ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় পঁচাত্তর হাজার টাকা) দামে নাইজেরিয়ান ড্যোর্ফ প্রজাতির পাঁচটি ছাগল কিনেন। তার ধারণা ছিল, এসব ছাগলের পিতা আমেরিকান ডেইরি গট এসোসিয়েশনের তালিকাভুক্ত। যদিও হিদার ডেনার ছাগল বিক্রির সময় তাকে সমস্ত তথ্য দিয়ে দিয়েছিলেন যাতে সে নিজেই ছাগলগুলোকে এই এসোসিয়েশনের নথিভুক্ত করতে পারেন।
পরবর্তীতে ক্রিস জানতে পারেন—বেলা, গিগি, রোজি, জেলদা এবং মারগোট নামে পাঁচটি ছাগলকে আমেরিকান ডেইরি গট এসোসিয়েশনের তালিকাভুক্ত করা হবে না। কারণ এদের পিতা এই এসোসিয়েশনের তালিকাভুক্ত নয়। অবশ্য হিদারও এই ছাগলগুলোর পিতাকে আমেরিকান ডেইরি গট এসোসিয়েশনের তালিকাভুক্ত করার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সংস্থাটির নিয়মিত সদস্য না হওয়ার কারণে তার আবেদন খারিজ করা হয়েছিল।
তাই ক্রিস ছাগলগুলোর পিতৃত্ব পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন। কারণ আমেরিকান গট এসোসিয়েশনের নথিভুক্ত ছাগলের দাম, নথিভুক্ত ছাড়া ছাগলের চেয়ে মূল্য অল্প বেশি। কিন্তু ছাগলগুলোর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পিতা ছাগলের প্রায় ৪০টি লোমের ফসিল প্রয়োজন ছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে ক্রিস হিদারের কাছে ডিএনএ চেয়ে একটি চিঠি লেখেন। কিন্তু হিদার এসব ঝামেলায় জড়াতে চান না জানিয়ে তাকে ছাগলগুলোর বদলে টাকা ফেরত দেওয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু এতে সম্মত হননি ওই নারী।
তাই ওই নারী প্রথমে পুলিশের কাছে সাধারণ অভিযোগ করেন। তারপর এই ছাগল কাণ্ড নিয়ে হিলসবার্গ কাউন্টি শেরিফের ডেপুটি তিনবার হিদারের খামারটি পরিদর্শন করেন।
ডেনার বলেন—মামলা দায়ের হওয়ার আগ পর্যন্ত ক্রিস আমাকে কোনো কিছুই জানায়নি।