আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা মঙ্গলবারের মধ্যে নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, যেহেতু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার এখন আর কোনো সুযোগ নেই, সেহেতু তারা সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়াতে পারবেন। আমরা আগামীকাল ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেখব কতজন প্রত্যাহার করেন। তবে আওয়ামী লীগের ইতিহাসে এবার বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা অনেক কম হয়েছে কৌশলী নেতৃত্বের কারণে।
আজ সোমবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের কাচঁপুরে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন তদন্ত মোতাবেক বিশৃংখলাকারীদের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এতে আওয়ামী লীগের কোনো দ্বিমত থাকবে না। নির্বাচনের অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবসমুখর পরিবেশে যারা বিশৃংখলা সৃষ্টি করবে তারা যে দলেরই হোক, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে আহবান জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
ড. কামাল হোসেন সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে হাত মিলিয়েছে। আর বলছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তারা লড়ছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হচ্ছে অসম্প্রদায়িক চেতনা। আর যে সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে তারা হাত মিলিয়েছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। যারা যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থন করে। বিএনপি-জামায়াতের পুরনো বন্ধুত্ব। নতুন করে ছদ্মবেশী গণতন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা ড. কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকীসহ আরো কয়েকজন আজকে সাম্প্রদায়িক শক্তির সাখে হাত মিলিয়ে ধানের শীষ মার্কায় ভোট করছেন। এটা স্ববিরোধী বক্তব্য ও হাস্যকর। সবচেয়ে দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে ড. কামাল হোসেন যে সুরে কথা বলছেন, তা তার মুখে মানায় না। হি ইজ স্টোপিং সো লো। তিনি এতো নিচে নেমে যাবেন আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করতে গিয়ে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ধারক শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু সাথে তিনি রাজনীতি করেছেন। আজকে বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে তার প্রধান শত্রু মনে করেন। তার কথাবার্তা আচার-আচরণ থেকে সেটাই মনে হয়। মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এজন্য আমাদের তেমন কোনো মাথাব্যথা নেই। কারণ সারাদেশে নৌকার গণজোয়ার বসছে। সরকার যে উন্নয়ন করেছে তা দেখে মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে শেখ হাসিনার নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর আগে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর নির্মান কাজ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে খোঁজ-খবর নেন। তিনি জানান, সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। মহাজোট আবারো ক্ষমতায় এলে আগামী বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবনির্মিত এই সেতুটি উদ্বোধন করবেন। সেতুমন্ত্রীর পরিদর্শনকালে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী মজিবুল হক, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঢাকা জোনের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, নারায়ণগঞ্জ সওজের প্রধান প্রকৌশলী আলীউল হোসেনসহ সড়ক ও সেতু বিভাগের ঊর্র্ধ্বতন কর্মকর্তারা।