আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সারাদেশে ঐক্যফ্রন্ট্রের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলা গ্রেফতার হয়রানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠকে বসেছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতারা।
বৈঠকে সারা দেশের ৩০ জেলায় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও বৈঠকে আচরণবিধি বর্হিভূত পুলিশী অভিযানের নামে বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, তল্লাশির নাম বাসাবাড়িতে তাণ্ডব, গুরুতর জখম, ‘আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধকরাসহ পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য লিখিত দাবি জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা।
আজ সোমবার বেলা ২টায় রাজধানীর নির্বাচন ভবনে বৈঠকটি শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চার কমিশনার ছাড়াও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত রয়েছেন।
অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, আ স ম রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, নজরুল ইসলাম খান, ড. মইন খান, মোস্তফা মহসিন মন্টু, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।
বৈঠকে সারাদেশের যে ৩০ জেলায় সহিংসতার কথা বলা হয়েছে সেগুলো হল- ঢাকা মহানগর, চাঁদপুর, কুমিল্লা, জামালপুর, ঝিনাইদহ, ভোলা, চট্টগ্রাম, শেরপুর, ফরিদপুর, নেত্রকোনা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ময়মনসিংহ, ঠাকুরগাঁও, নোয়াখালী, রাজশাহী, যশোর, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, নরসিংদী, নাটোর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জয়পুরহাট, মেহেরপুর, রংপুর, পাবনা, সাতক্ষীরা, ফেনী, সিরাজগঞ্জ ও হবিগঞ্জ। এছাড়াও বিভিন্ন জেলার বিএনপির নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের প্রচারণায় বাধা ও হামলা করা হচ্ছে বলে লিখিত অভিযোগ বলা হয়েছে।