শেরপুরে করোনা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে পুলিশ বিভাগ। জনসাধারণের সেবা নিশ্চিত করতে পুলিশ সদস্যদের সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ে কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। এ জন্য তাদের শারীরিক সক্ষমতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি জরুরি। তাই জেলা পুলিশ সুপার আশরাফুল আজীমের নির্দেশনায় গত এক মাস যাবৎ জেলার পাঁচ উপজেলার প্রতিটি থানায় প্রাতঃকালীন অনুশীলন শুরু হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম জানান, এ অনুশীলনে পুলিশ লাইনস’র সদস্য, প্রতিটি থানার পুলিশ সদস্য, গোয়েন্দা শাখার সদস্য, কোর্ট পুলিশ এবং বিভিন্ন ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা অংশ নিচ্ছেন। তারা থানা চত্বরে এবং সড়কে দৌঁড়ে অনুশীলন চালায়। প্রতিটি ইউনিটে একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার তত্বাবধানে চলছে এ অনুশীলন। এর মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের শারীরিক সক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে বাহিনীর শৃঙ্খলা উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম জানান, জেলার সদর উপজেলাসহ নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নকলা থানায় কর্মরত নয় শতাধিক পুলিশ সদস্য এ অনুশীলনে অংশ নিচ্ছে। প্রতিদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত চলে এ অনুশীলন।
জামাল আহমেদ নামে একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক জানান, করোনা মোকাবিলায় শেরপুর পুলিশ বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পুলিশ সদস্যরা করোনা আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দিচ্ছে। রোগীসহ স্বজনদের খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সহায়তা করছে। প্রতিটি রোগীর বাড়ি লকডাউন কার্যকরে ভূমিকা রাখছে। করোনায় মৃত ব্যক্তির সৎকারে সাহায্য করছে। শুধু তাই না অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ সুপার নিজে করোনা রোগীর বাড়ি গিয়ে খাবার সরবরাহ করছেন। এছাড়া ওইসব বাড়ির নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
এ অনুশীলন কার্যক্রম পুলিশ সুপারের একটি অনন্য উদ্যোগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জেলার ১৬ লাখ মানুষের নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করতে পুলিশ সদস্যদের শারীরিক সক্ষমতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা জরুরি। কারণ তারা সুস্থ থাকলেই জনসাধারণের সেবা নিশ্চিত হবে।’