ময়মনসিংহের ভালুকায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভালুকা হাইওয়ে পুলিশের (এস আই) হাদিউল ইসলাম নিজে বাদী হয়ে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন। রবিবার (২৮ জুন) দুপুরের দিকে আসামিদেরকে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার (২৭ জুন) দুপুর ২ টা ৪৫ মিনিটের দিকে উপজেলা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মুখ্যিপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মোফাজ্জল হোসেন (৪২) ও হালুয়াঘাট পৌরসভার খয়রাকুড়ি এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে রাকিব হোসেন রাসেল (৩৩)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ভালুকা বাসস্ট্যান্ড দীর্ঘ দিন ধরে একটি চক্র মহা-সড়ক বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় বাস, ট্রাকসহ যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি করে আসছিল। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (২৭ জুন) দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে ভালুকা ভরাডোবা হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মোঃ হাদিউল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল নিয়ে ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় বাস মালিক সমিতির প্রতিনিধি হালুয়াঘাট পৌরসভার খয়রাকুড়ি এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে রাকিব হোসেন রাসেল ও শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি ত্রিশাল উপজেলার মুখ্যিপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মোফাজ্জল হোসেনের কাছ থেকে চার হাজার ৩শ টাকাসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ভালুকা ভরাডোবা হাইওয়ে পুলিশের (এস আই) হাদিউল ইসলাম শনিবার (২৭ জুন) রাতে ভালুকা মডেল থানায় নিজে বাদী হয়ে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভালুকা ভরাডোবা হাইওয়ে পুলিশের (এস আই) মোঃ হাদিউল ইসলাম বলেন, তারা দীর্ঘ দিন ধরে ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের নামে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি করে আসছিল। সেই প্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা আরো ৪-৫ জন চাঁদাবাজিরা পালিয়ে যায়। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে ভালুকা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) আব্দুল লতিফ বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাদিউল ইসলাম নিজে বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদেরকে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।