ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার লংগাইর ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব কোনো ভবন নেই। বহু বছর আগেই পরিত্যাক্ত হয়ে যায় ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন। স্থায়ী ভবন না থাকায় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাড়াকৃত দোকানে দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করতে হচ্ছে। এতে পরিষদ থেকে সেবা পেতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা।
জানা যায়, স্থানীয় সরকারের অন্যতম প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদ। গ্রামীণ পর্যায়ে সরকারি উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের ভূমিকা অপরিসীম। ইউনিয়নের উন্নয়ন কাজ পরিচালনার জন্য নিবিড়ভাবে জড়িত ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন। এখান থেকেই পরিষদের দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করা হয়। স্থায়ী ভবন না থাকায় লংগাইর ইউপি চেয়ারম্যান মাইজবাড়ী বাজারের মসজিদ মার্কেটে দুতলার দুইটি দোকান ভাড়া নিয়েছে।প্রতি মাসে পরিষদের ভারা বাবদ খরচ হয় তিন হাজার টাকা। ভাড়াকৃত ভবনেই দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক কাজ পরিচালিত হচ্ছে। এতে উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করাসহ দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে।পূববর্তী জনপ্রতিনিধিদের জোরদার তৎপরতা না থাকাসহ সরকারি বরাদ্দের নানা সীমাবদ্ধতাকে কমপ্লেক্স না হওয়ার ক্ষেত্রে দায়ী করছেন স্থানীয় লোকজন।
ইউনিয়নের সৈয়দপাড়া গ্রামের কৃষক সাইফুল মিয়া বলেন, যেকোনো সেবা পেতে তাদের তিন কিলোমিটার দূরে মাইজবাড়ী বাজারে যেতে হয়। পরিচয়পত্র, ভিজিডির চাল, ভিজিএফের চাল, কৃষিবিষয়ক পরামর্শ ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে তাঁদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
লংগাইর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আমিন বিপ্লব বলেন, নিজস্ব ভবন না থাকায় মার্কেটের দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে পরিষদের কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে।ভবনের অভাবে উন্নয়ন কার্য ব্যাহত হওয়া সহ জনগনের দূর্ভোগ পুহাতে হচ্ছে। জমি নির্বাচন করে জেলা স্থানীয় সরকার শাখায় একটি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। কমপ্লেক্সটি হলে সেবার মান আরও ভালো হতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)কাজী মাহবুব উর রহমান বলেন, ইউনিয়ন কমপ্লেক্স এর জন্য প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।