বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনার পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ ও ভুয়া রিপোর্ট সরবরাহকারী চক্রের ৪ সদস্যকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। শনিবার (২৭ জুন) ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ এই আদেশ দেন।
এরআগে ২ দিনের রিমান্ড শেষে জেকেজির সিইও আরিফুল হক চৌধুরী, সাঈদ চৌধুরী, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (তেজগাঁও থানার এসআই) দেওয়ান মো. সবুর।
এছাড়া, আরিফুল হক চৌধুরী ও সাঈদ চৌধুরীর তিন দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট থানার এসআই মো. তৌফিক। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে উভয় আবদেন নামঞ্জুর করেন আদালত।
এরআগে, গত ২৪ জুন এই ৪ আসামির ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই দিন মামলার অন্য দুই আসামি হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত তেঁজগাও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করা হয়। তারা হলেন হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, জেকেজির সিইও আরিফুল হক চৌধুরী, সাঈদ চৌধুরী, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ। এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে তেঁজগাও থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে নেতৃত্বে চক্রটি রাজধানীর বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে করোনার পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ভুয়া রিপোর্ট দিতেন।