ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর নামাপাড়া ও উত্তরপাড়া এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন তীব্র আকার ধারন করেছে। এর ফলে বাড়িঘর, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বাঁশঝাড় ও ফসলি জমী নদীতে বিলীন হচ্ছে। ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মানববন্ধন করেছে এলাকার কয়েকশ নারী-পুরুষ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিম, মুক্তিযোদ্ধা নোমান চৌধুরী ও শরিফুল ইসলামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগন।
স্থানীয় সুত্র জানায়,ওই এলাকায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের হুমকীতে পড়েছে নদ তীরবর্তী প্রতিরক্ষা বাধ, রাস্তা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি ও বসতভিটা। ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বিস্তীর্ণ এলাকা নদে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
স্থানীয়রা জানান,প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলেই ব্রহ্মপুত্রে ভাঙর বেড়ে যায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে নদ তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। এ মৌসুমেও নদে ভাঙন আতঙ্কিত করে তুলেছে এলাকাবাসিদের। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। প্রতিবছর নদের ভাঙনে বিলীন হয়ে যায় অনেকেরে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। ভাঙন ঠেকাতে নদ খনন করে গতি ফেরানোর কাজ চললেও মরিচারচর গ্রামের উত্তপাড়া,নতুনচর,বটতলা,মরিচারচর মুন্সিবাড়ি.দপ্তর,গাংগিনাপাড়,নামাপাড়া,উত্তরপাড়া এলাকার মানুষের ফসলি জমি ব্রহ্মসপুত্র গ্রাস করে নিচ্ছে। কিছুদিন ধরে মরিচারচর উত্তপাড়া ও নতন চর এলাকায় অন্ত অর্ধশত পরিবার ঝুঁকিতে রয়েছে। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ আজিজুল হক বলেন,আমার বাঁশঝাড়,ভিটে ছাড়া সব নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বসত ঘরও ভাঙনের মুখে পড়ায় তা সরিয়ে নিয়েছি।
স্থানীয় চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদ ভেঙ্গে প্রায় ৫০ মিটার ভেতরে প্রবেশ করেছে। আমাদের দাবি ভাঙন রোধ করার পাশপাশি নদ তীরবর্তী মানুষের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি রক্ষায় যেন দ্রæত পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদ খননের জন্য সরেজমিন পরিদর্শণ শেষে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।