বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা কম্পাউন্ডে অবস্থিত উপজেলা পরিষদ বিদ্যানিকেতন নামে বেসরকারি কিন্টারগার্ডেনের বিরুদ্ধে মাসিক বেতন ও পরীক্ষার ফি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে অভিভাবক মহলে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, গত ৮ মার্চ থেকে মহামারী করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা পরিষদ বিদ্যানিকেতনের সকল প্রতিষ্ঠানিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। সম্প্রতি শিক্ষকদের কয়েকটি গ্রুপ শিক্ষার্থীদের বাসায় বাসায় গিয়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে তিন মাসের বেতন সহ পরীক্ষার ফি আদায় করেছে।এই নিয়ে অভিভাবক মহলে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, ৩৫০ টাকা করে তিন মাসের বেতন ১০৫০ টাকা ও পরীক্ষার ফিস বাবদ ৩৫০ মোট ১৪০০ টাকা বুধবার (২৪ জুন)আমার কাছ থেকে নিয়েছে।অভিভাবকদের উপর শিক্ষকরা এক রকম জুলুম চাপিয়ে দিয়েছে।
অপর একজন বলেন, বিদ্যালয়ে আমার দুইজন জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে।করোনা পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় বন্ধ ছিল কোন ক্লাস পরীক্ষা হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সকল অভিভাবকরা। এর ওপর ক্লাস পরীক্ষা না নিয়ে এভাবে টাকা নেওয়া শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের সাথে অন্যায় ছাড়া আর কিছু না।
উপজেলা পরিষদ বিদ্যা নিকেতনের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল জসিম উদ্দিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা আদায়ের কথা অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ খোলা রেখেছি। যদি কোন অভিভাবকের মন চায় তাহলে এসে তারা বেতন দিয়ে যেতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কাজী মাহবুব উর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের বাসায় গিয়ে এভাবে টাকা আদায়ের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো।বর্তমান পরিস্থিতিতে সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে তাই বাসায় গিয়ে টাকা আদায় ঝুঁকিপূর্ণ এবং পরীক্ষা নেওয়াও সম্ভব নয়।