বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক অদ্ভুত চরিত্র সাকিব আল হাসান। জাতি হিসেবে বাংলাদেশিরা অনেক আবেগী হলেও এখানে ব্যতিক্রম সাকিব। মাঠে আবেগের খুব একটা প্রকাশ দেখায় না সাকিব। তবে মাঠে মেজাজ হারিয়ে ফেলার মত কিছু ঘটনা আছে সাকিবের।
সবচেয়ে বড় উদাহরণ, নিদাহাস ট্রফির গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ। সে ম্যাচে অধিনায়ক সাকিব আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে রাগের বশে মাঠে থাকা ব্যাটসম্যানদের উঠে চলে আসতে বলেন। যদিও পরে ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনের হস্তক্ষেপে শান্ত হয় পরিস্থিতি। এছাড়াও আরও কিছু ম্যাচে সাকিবকে রাগ করে স্টাম্পে আঘাত করতেও দেখা যায়।
ক্রিকবাজের সঙ্গে অনলাইন আলোচনায় সাকিবকে নিদাহাস ট্রফির সে ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে আনলে। সাকিব সেই অভিযোগ মেনে নিয়ে জানান, মাঠের বাইরে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখলেও মাঠের ভেতরে নিজের আরও উন্নতি দরকার।
তিনি বলেন, ‘আসলে অনেক সময়ই রাগ পেয়ে বসে আমাকে। নিজেকে সামলাতে পারি না। জানি না, ওই সময় আমার কী হয়ে যায়। কখন যে মেজাজ হারিয়ে ফেলি বুঝতে পারি না। অনেক সময় কিছু একটা হয়ে যায়, হুট করে রেগে যাই, সেই রাগ থেকে বেরুতেও পারি না।’
এক্ষেত্রে উন্নতি করার জায়গা দেখেন জানিয়ে আরও যোগ করেন, ‘এটি একটি জায়গা, যেখানে আমি উন্নতি করতে পারি। আরও ভাবতে পারি এবং ভালো হতে পারি এখানে। কারণ, এখনও এটা আমার ভেতর আছে, রেগে গেলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।’
পরিবারে রাগ নিয়ন্ত্রণে অভ্যস্ত হলেও মাঠের ক্রিকেটে এখনও পারেননি বলে মনে করেন সাকিব। তাঁর ভাষ্যে, ‘এখন আমার দুটি মেয়ে আছে, ওদেরকে সামলাতে গিয়ে রাগ নিয়ন্ত্রণে ভালো হয়ে উঠছি। তবে, ক্রিকেট খেলায় সময়, এখনও নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।’
তবে সাকিব মনে করেন, কিছু কিছু সময় রেগে যাওয়া ভালোও বটে। তাহলে নিজেকে বদলাতে সুবিধা হয়। এই ক্রিকেটার আরও যোগ করেন, ‘কখনও কখনও ওই মুহূর্তগুলির প্রয়োজন আছে। এরকম কিছু হওয়ার পরই উপলব্ধি হয় যে এখানে নিজেকে সামলানো শিখতে হবে। কাজেই এরকম রাগ বা ভুল মাঝেমধ্যে প্রয়োজন হয়, ভুল থেকে শেখার জন্য।’