ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গুলিতে নিহত বাংলাদেশীর লাশ দু’দিন পরও ফেরত দেয়নি বিএসএফ। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় গোবরাকুড়া স্থলবন্দর সংলগ্ন নো ম্যান্স ল্যান্ডে দু’দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার পর গতকাল বুধবার লাশ ফেরত দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ বিএসএফ কোনো পত্র না দেয়ায় আজকের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠান হয়নি। ফলে দু’দিন পরও লাশ ফেরত পায়নি বিজিবি।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) গোবরাকুড়া বিওপির কমান্ডার নায়েক সুবেদার হারুন অর রশিদ জানান, বুধবার বিকেল সাড়ে চারটায় বিএসএফ আসবে বলে সকালে মোবাইলে জানিয়েছিল। কিন্তু বিএসএফ এর পক্ষ থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো পত্র না দেয়ায় পতাকা বৈঠক হয়নি। তাই লাশ ফেরত বা শনাক্ত হয়নি। তবে কবে কখন লাশ ফেরত দেয়া হবে পতাকা বৈঠক না হওয়া পর্যন্ত বলা মুসকিল। গত মঙ্গলবার বিজিবির সাথে বিএসএফ’র পতাকা বৈঠকে বিএসএফ জানিয়েছে, ময়না তদন্ত না হওয়ায় লাশ ফেরত বা শনাক্ত করতে দেয়া যচ্ছে না বিধায় বুধবার পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে শনাক্তের পর লাশ ফেরত দেয়া হবে।
এরআগে হালুয়াঘাট উপজেলার পশ্চিম গোবরাকুড়া গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে শুকুর আলী ও খলিল মিয়া জানান, তাদের ছোট ভাই মানসিক ভারসাম্যহীন আব্দুল জলিল গত সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। ভারতীয় সীমান্তে নিহত ব্যক্তির মরদেহের বর্ণনা অনুযায়ী ওই ব্যক্তিই তাদের ছোট ভাই আব্দুল জলিল। তারা অবিলম্বে নিহত জলিলের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানান।