ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট যুদ্ধ! ছোট এই বাক্যে হাজার উন্মাদনা, আবেগ, অনুভূতি এমনকি ক্রিকেটীয় ব্যবসা জড়িয়ে আছে প্রবলভাবে। একসময়ের নিয়মিত এই ক্রিকেট যুদ্ধ এখন অনেকটা ঈদের চাঁদের মতো হয়ে গেছে। কালেভদ্রে বিশ্ব টুর্নামেন্টের আসরে বা এশিয়ান কাপে দেখা যায়।
২০১২ সালের পরে দুই দেশের মধ্যে নেই কোনো সিরিজ। বিষয়টা এমন নয় যে, আর্থিকভাবে ক্ষতি শিকার হচ্ছে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড। বরং রাজনীতিক বৈরী সম্পর্কের দরুণ এমনটা হয়ে আসছে গত প্রায় এক দশকের কাছাকাছি সময় ধরে। তবে ক্রিকেটের স্বার্থে আবার ফিরে আসা উচিত ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট সিরিজ। এমনটাই মনে করছেন, পাকিস্তানের ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। যিনি কিনা আবার সম্পর্কে ভারতীয়দের জামাই (সানিয়া মির্জাকে বিয়ে করার সুবাদে)।
সম্প্রতি পাকিস্তানের পাকপ্যাসন ডট নেট নামের এক ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মালিক ভারত–পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজের গুরুত্বের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘আমি মনে করি ক্রিকেটের যেমন অ্যাশেজকে দরকার তেমনি এই লড়াইটাও (ভারত–পাকিস্তান সিরিজ) খুব করে প্রয়োজন। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া কি অ্যাশেজ সিরিজ ছাড়া টেস্ট ক্রিকেটের কল্পনা করতে পারে? দুটি সিরিজই তো একইরকম আবেগ ও তীব্রতা নিয়ে খেলা হয়। আর দুটোরই কী সমৃদ্ধ ইতিহাস। আমরা যে এখন খেলছি না সেটি খুবই দুঃখজনক।’
মালিক আরও জানিয়েছেন, ক্রিকেটারদের প্রচুর সমাদর রয়েছে দুই দেশেই। সেখানে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা মিশে রয়েছে। ভারতে সবসময় ভালোবাসা ও সমর্থন পাওয়া মালিক দ্রুত সময়ে নিজেদের মধ্যকার সিরিজ আবার ফিরে আসুক জানিয়ে আরও যোগ করেন,
‘আমার পাকিস্তানি বন্ধুরা যখন ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে কথা বলে তাতে শ্রদ্ধা ও প্রশংসাই থাকে। একইভাবে আমি ও আমার পাকিস্তানি সতীর্থরা যখনই ভারতে খেলতে গেছি ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছি। এ কারণেই আমি চাই যত দ্রুত সম্ভব মাঠে ফিরুক এই দ্বৈরথ।’
এই সময়ে শোয়েব মালিক ভারতের বিপক্ষে নিজের স্মরণীয় মুহূর্তের কথাও তুলে ধরেন। ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, ‘ব্যক্তিগত দিক থেকে বললে ২০০৯ সালে সেঞ্চুরিয়নে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচটি। যে ম্যাচে ১২৮ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছিলাম। এরপর ২০০৪ সালে শ্রীলঙ্কায় খেলা এশিয়া কাপ। যে ম্যাচে ১২৭ বলে ১৪৩ রান করার পর শচীন টেন্ডুলকার ও যুবরাজ সিংয়ের উইকেট নিয়েছিলাম। সেটা আমার সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত।’
‘আর এছাড়াও আমি ২০০৪ সালে কলকাতার ওয়ানডেটাও উপভোগ করেছিলাম। ওই ম্যাচটা ২৯৩ রান তাড়া করে জিতি আমরা। ঈদের আগের দিন ছিল সেটি, আর কৃত্রিম আলোর নিচে ইডেন গার্ডেনের পরিবেশ অবিশ্বাস্য ছিল।’