করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফন করায় ফেনীর সোনাগাজী পৌরসভার ‘বক্স আলী ভূঁইয়া জামে মসজিদের’ ইমাম মাওলানা মো. নূর উল্লাহকে চাকরিচ্যুতির ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২২ জুন) সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির জনস্বার্থে এ নোটিশ পাঠান।
সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌরসভার মেয়র, মতিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান, মসজিদ কমিটি সভাপতি ও স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনারকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, ‘পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ফেনী জেলার সোনাগাজী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বক্স আলী ভূঁইয়া জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. নূর উল্লাহকে-কে করোনা উপসর্গে মৃত ব্যক্তির দাফন কাজে সহায়তা করায় চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার সাতারবাড়িয়া গ্রামে আত্মগোপনে আছেন।’
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন সোনাগাজীর ফিল্ড সুপারভাইজার আলমগীর হোসেনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মাওলানা নূর উল্লাহকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সোনাগাজী উপজেলার করোনা/উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়াদের দাফন কমিটির একজন সদস্য। গত ১৭ জুন মতিগঞ্জ ইউনিয়নের সুলাখালী গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা জিয়াউল হক করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসাবে তিনি ওই দাফনে অংশ নেন। কমিটির অনুমতি না নিয়ে দাফনে অংশগ্রহণ করার অভিযোগে তাকে ইমামের দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘যেখানে করোনা পরিস্থিতিতে নিজের আত্মীয়-স্বজনও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে অপারগতা প্রকাশ করে। এমনকি সন্তান তার মাতা-পিতাকে রাস্তায় ফেলে যাওয়ার নজিরও দেখা যায়। অথচ মাওলানা নূর উল্লাহ ইসলামের বিধান অনুযায়ী মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করেছেন। এটি অত্যন্ত মহৎ ও প্রসংশনীয় কাজ। এ কাজে অংশ নিয়ে তিনি দেশের কোনো আইন ভঙ্গ করেননি। তিনি অশালীন ও অমানবিক কোনো কাজও করেননি। বরং তিনি ইসলামের বিধান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই তাকে অনতিবিলম্বে স্বপদে বহাল করে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ দিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে বলে জানান আইনজীবী।’