রাকিব নামে এক যুবককে লিবিয়ায় পাচারের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোববার (২১ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
স্বীকারোক্তি দেওয়া আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন, বাদশা ফকির ও কবির হোসেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে এ তিনজনসহ নাছির উদ্দিন নামে অপর এক আসামিকে কারাগারে পাঠান আদালত। এর মধ্যে প্রথম তিনজন এজাহারনামীয় হলেও নাছির উদ্দিনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়।
বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে থাকা এ আসামিদের রোববার আদালতে হাজির করে জাহাঙ্গীর হোসেন, বাদশা ফকির ও কবির হোসেনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের ও নাছির উদ্দিনকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক এস এম গফফারুল আলম। আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তিন আসামির জবানবন্দি রেকর্ড এবং অপর মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ আসামি নাছির উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৮ জুন জাহাঙ্গীর হোসেন ও বাদশা ফকিরের পাঁচদিন এবং ১৪ জুন সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া ১৭ জুন কবির হোসেন ও নাছির উদ্দিনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
রাকিবকে পাচারের ঘটনায় তার বাবা মান্নান মুন্সি গত ৫ জুন পল্টন থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- মনির হাওলাদার, মহসিন হাওলাদার, খোকন হাওলাদার, জাহাঙ্গীর, বাদশা ফকির, কবির হোসেন, শরীফ, লিবিয়ায় অবস্থানকারী মুন্না, রহিম বেঙলি, আলামিন, রুবেল, আরিফ, শাকিল, সাইফুল, মানিক, আব্দুল্লাহ।
গত ২৮ মে লিবিয়ায় মানবপাচারকারীদের হাতে ২৬ বাংলাদেশি নিহত ও ১২ জন আহত হন। ১৫ দিন আগে লিবিয়ার বেনগাজী থেকে মরুভূমি পাড়ি দিয়ে ত্রিপলিতে নেওয়া হচ্ছিল ৩৮ বাংলাদেশিকে। পথেই তাদের জিম্মি করে সন্ত্রাসীরা। এর মধ্যে ২৬ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর বিভিন্ন থানায় ২২টি মামলা দায়ের করা হয়।