বছরের প্রথম বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ শুরু

APTOPIX Norway Europe Solar Eclipseপৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ শুরু হয়েছে রোববার সকাল ৯টা ৪৬ মিনিট ৬ সেকেন্ডে। এটির শেষ দেখা যাবে বিকেল ৩টা ৩৪ মিনিটে।

আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশের আকাশেও আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। ঢাকায় কেন্দ্রীয় গ্রহণ হবে দুপুর ১টা ১২ মিনিট ২৯ সেকেন্ডে, ময়মনসিংহে ১টা ১২ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে, চট্টগ্রামে ১টা ১৭ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে। এছাড়া সিলেটে দুপুর ১টা ১৬ মিনিট ৫০ সেকেন্ডে, খুলনায় ১টা ৯ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডে, বরিশালে ১টা ১২ মিনিটি ৩২ সেকেন্ডে, রাজশাহীতে ১টা ৬ মিনিটি ২৬ সেকেন্ডে ও রংপুরে দুপুর ১টা ৭ মিনিট ২০ সেকেন্ডে কেন্দ্রীয় সূর্যগ্রহণ হবে।

কঙ্গো, লাইবেরিয়া, ইথিওপিয়া, পাকিস্তান, ভারত ও চীন থেকে দেখা গেলেও বাংলাদেশ থেকে এই বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না। তবে আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে বাংলাদেশ থেকে আংশিক বলয়গ্রাস গ্রহণ দেখা যেতে পারে। যেমনটি ঘটেছিল ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর।

বাংলাদেশে গ্রহণ শুরু হয় সকাল ১১টা ২৩ মিনিটে। সর্বোচ্চ গ্রহণ হবে দুপুর ১টা ১২ মিনিটে। গ্রহণ শেষ হবে দুপুর ২টা ৫২ মিনিটে। ঢাকায় পরবর্তী সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সূর্য পুরোপুরি ঢেকে যাবে না। রিংয়ের মতো দেখা যাবে। এটিকে বলা হয় ‘রিং অব ফায়ার’।

বলয়গ্রাস প্রথম দেখা যাচ্ছে আফ্রিকার দেশ কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের ইম্পফেন্ডো শহরে। সকাল ১০টা ৪৮ মিনিটে কেন্দ্রীয় গ্রহণ শুরু হয়। সেটি দেখা যাচ্ছে কঙ্গোর বোমা শহর থেকে। সর্বোচ্চ গ্রহণ দেখা যাবে ভারতের যোশীমঠ শহর থেকে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ শেষ হওয়া দেখা যাবে ফিলিপাইনের সামার শহর থেকে দুপুর ২টা ৩১ মিনিটে। গ্রহণ শেষ হবে ফিলিপাইনের মিন্দানাও শহরে বিকেল ৩টা ৩৪ মিনিটে।

ঢাকায় সূর্য ৭৩ ভাগ ঢেকে যাবে। ঢাকা থেকে উত্তর দিকে গেলে অর্থাৎ তেঁতুলিয়া থেকে ৮৫ ভাগ এবং চট্টগ্রামের দিকে গেলে ৬৫ ভাগের মতো গ্রহণ দেখা যাবে। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী জানান, করোনার কারণে এবার জাদুঘরে কোনো পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প আয়োজন করা হবে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রহণের সময় খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকালে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। উপযুক্ত সোলার ফিল্টার বা ১৩ গ্রেডের ওয়েল্ডিং গ্লাস ব্যবহার করে এই গ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা যাবে।

Share this post

scroll to top