ময়মনসিংহের ত্রিশালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক নারী মারা গেলে লাশ নিতে অস্বীকৃতি জানান স্বামী বাদল মিয়া। পরে নাজমা নামে ওই নারীর লাশ দাফন করা হয় বাবার বাড়িতে। নিহত ফুলবাড়ীয়া উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নের টুক্কির পাড় গ্রামের বাদল মিয়ার স্ত্রী।
করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ১৪ জুন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন নাজমা। পরে শুক্রবার ময়মনসিংহের এস.কে (সূর্যকান্ত) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নাজমা। শনিবার বিকেলে উপজেলার বইলর ইউনিয়নের বাঁশকুড়ি গ্রামের বাবার বাড়িতে নাজমার লাশ দাফন করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, নাজমার মৃত্যুর খবর তার শ্বশুর ও বাবার বাড়িতে পৌঁছালে দুই পরিবারেই লাশ গ্রহণ নিয়ে শুরু হয় বিপত্তি। নাজমার স্বামী বাদল মিয়া ও তার পরিবার প্রথমে লাশ নিতে আপত্তি জানায়। অন্যদিকে মেয়ের লাশ দাফন করেত চাইলেও স্থানীয় কিছু লোকজন ভয় দেখানোয় পিছিয়ে আসেন নাজমার বাবা। এ ছাড়া আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর চাপে পড়ে তিনি মেয়ের দাফনে বিমুখ হন।
পরে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তত্ত্বাবধানে শহরের ভাটিকাশর কবরস্থানে দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। তবে এর আগেই বৈলর বাঁশকুড়ি এলাকার কিছু লোকজন নাজমার বাবাকে মরদেহ গ্রহণ করতে সাহস দেন। পরে তিনি ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে নিজ বাড়িতে মেয়ের দাফন করেন। সেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টম ফাউন্ডেশন নাজমার লাশ দাফন কাজ সম্পন্ন করে।
ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নাজমার স্বামীর পরিবার মরদেহ গ্রহণে আপত্তি জানায়। তার বাবার পরিবারও প্রথমে রাজি ছিলেন না। অবশ্য পরে তারা মেয়ের লাশ গ্রহণ করেন।