করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া গণমাধ্যমকর্মীর সংখ্যা ৪০০ ছাড়ালো। এ পর্যন্ত করোনায় সাত গণমাধ্যমকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরো সাতজন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১০৮ জন গণমাধ্যমকর্মী।
গণমাধ্যমকর্মীদের করোনায় আক্রান্ত হওয়া ও মারা যাওয়ার বিষয়ে নিয়মিত খোঁজ রাখছে ‘আমাদের গণমাধ্যম, আমাদের অধিকার’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপ। গ্রুপের এডিমন ও নিউ এজ পত্রিকার সাংবাদিক আহম্মদ ফয়েজ জানিয়েছেন, শনিবার (২০ জুন) দুপুর পর্যন্ত ৪০৪ জন সংবাদকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
তিনি জানান, করোনায় আক্রান্ত গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে ঢাকার ৩৪৩ জন এবং ঢাকার বাইরের ৬১ জন। এখন পর্যন্ত ১০১টি গণমাধ্যমের কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এসবের মধ্যে ৫২টি পত্রিকা, ২৭টি টেলিভিশন, ১৬টি অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, পাঁচটি রেডিও ও একটি সংবাদ সংস্থা।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৮ এপ্রিল দৈনিক সময়ের আলোর নগর সম্পাদক ও প্রধান প্রতিবেদক হুমায়ুন কবির খোকন, ২৯ মে দৈনিক জবাবদিহির সহকারী সার্কুলেশন ম্যানেজার শেখ বারিউজ্জামান, ৩১ মে এনটিভির অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান মোস্তফা কামাল সৈয়দ, ৭ জুন ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের কক্সবাজার প্রতিনিধি আব্দুল মোনায়েম খান, ১১ জুন দৈনিক উত্তর কোণ (বগুড়া) সম্পাদক মোজাম্মেল হক, ১১ জুন দৈনিক ভোরের ডাকের চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি গোলাম মোস্তফা এবং শনিবার (২০ জুন) প্রবীণ সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী মারা যান।
করোনার উপসর্গ নিয়ে ৬ মে দৈনিক সময়ের আলোর সিনিয়র সাব এডিটর মাহমুদুল হাকিম অপু, ৭ মে দৈনিক ভোরের কাগজের ক্রাইম রিপোর্টার আসলাম রহমান, ২০ মে
দৈনিক বাংলাদেশের খবরের প্রধান আলোকচিত্রী মিজানুর রহমান খান, ১১ জুন দৈনিক বগুড়া পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ওয়াসিউর রহমান রতন, ১৪ জুন সিলেটের আঞ্চলিক নিউজ পোর্টাল আজকের সিলেট ডটকমের বালাগঞ্জ প্রতিনিধি, ২২ মে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সিনিয়র সাংবাদিক সুমন মাহমুদ এবং ৩০ মে দৈনিক সমাচার ও চাঁদপুর জমিন পত্রিকার ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি আবুল হাসনাত মারা যান।