জেরার্ড পিকে নাকি এমন শঙ্কা আগেই করেছিলেন। সতীর্থদের জানিয়ে রেখেছিলেন, লা লিগার শিরোপা জয় মোটেও সহজ হবে না।
শুক্রবার সেভিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ের পর তো দলের পারফরম্যান্সে রীতিমত ক্ষিপ্ত পিকে। তার সাফ কথা, ‘চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের থেকে বাজে খেলছে বার্সেলোনা।’ সাথে যোগ করেছেন, ‘এখন আর শিরোপা জয় আমাদের উপর নির্ভর করছে না। লিগ শিরোপা জয় কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা আমাদের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করবো। কিন্তু সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে আমি খুশি নই। খুব অবাক হবো রিয়াল মাদ্রিদ যদি সামনের ম্যাচগুলিতে পয়েন্ট হারায়।’
বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ লা লিগার পয়েন্ট টেবিলে পিঠাপিঠি অবস্থানে। শুক্রবারের ম্যাচের আগে ২৯ ম্যাচে ২০ জয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট ছিল ৬৪। রিয়াল মাদ্রিদ ছিল একেবারেই নিঃশ্বাস দূরত্বে। এক ম্যাচ কম খেলে রামোসদের পয়েন্ট ছিল ৬২। সেভিয়ার বিপক্ষে ড্রয়ের পর বার্সেলোনার পয়েন্ট এখন ৬৫। রোববার রিয়াল মাদ্রিদ নিজেদের পরের ম্যাচ খেলবে রিয়াল সোসিয়াদের বিপক্ষে। অতিথি মাঠে জিতলেই তারা টপকে যাবে বার্সেলোনাকে। পয়েন্ট সংখ্যা সমান হলেও হেড টু হেড ব্যবধানে রিয়াল শীর্ষে উঠবে।
লিগে মোট ৩৮ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। রিয়ালের ম্যাচ বাকি ৯টি, বার্সেলোনার ৮টি। মাঠের খেলায় যে কোনও কিছুই হতে পারে। তবে শুক্রবার রাতে মেসিদের ড্র রিয়াল মাদ্রিদকে দিয়েছে আনন্দ বার্তা। তাদের মুখে রয়েছে হাসি।
রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা বাদে এবারের লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা নেই অন্য কারো। তিনে থাকা সেভিয়ার ৩০ ম্যাচে পয়েন্ট মাত্র ৫২। ফলে স্পেনের দুই বড় ক্লাবেই যাচ্ছে শিরোপা তা মোটামুটি নিশ্চিত।
শেষ দুই বছর লা লিগার শিরোপা জিতেছে মেসিরা। এবার হ্যাটট্রিক শিরোপা জেতে নাকি সেটাই দেখার। অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদ শেষ দুই মৌসুমে তিন নম্বরে থেকে শেষ করেছিল। এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দারুণ সুযোগ তাদের সামনে। জিনেদিন জিদানের হাত ধরে আবার লিগ শিরোপা জেতার অপেক্ষায় লস ব্লাঙ্কোসরা।
প্রসঙ্গত, লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদ সবচেয়ে বেশি ৩৩ বার শিরোপা জিতেছে। বার্সেলোনা শিরোপা জিতেছে ২৬ বার।