করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর আইসোলেশন ভঙ্গ করে আসামিকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে বাইরে যাওয়ার অভিযোগে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
একইসঙ্গে তার স্থলে ওই থানায় নতুন ওসি গিয়াস উদ্দিনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) রাতে ওসি আবদুস সামাদের স্থলে গিয়াস উদ্দিন নামে আরেক পুলিশ কর্মকর্তাকে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন।
করোনার উপসর্গ থাকায় গত ৯ জুন সোনাইমুড়ী বজরা হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা করেন ওসি আবদুস সামাদ। পরে ১৫ জুন তার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর থানার কোয়ার্টারে আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। তবে, গত বুধবার আইসোলেশন ভঙ্গ করে হত্যা মামলার আসামি মীর হোসেন প্রকাশ মীরাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যান তিনি।
জানা যায়, বুধবার (১৭ জুন) মাদরাসা ছাত্র আবুল বাশার ওরফে সাইমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মীর হোসেন ওরফে মীরাকে ঢাকার কদমতলী থানার মোহাম্মদবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের একটি দল। পরে থানার ওসি আবদুস সামাদ আইসোলেশন থেকে বের হয়ে ওই আসামিকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যান।
এ সময় ওসিসহ অন্য পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি টিপ ছোরা উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় আসামি ছাড়াও একাধিক পুলিশ সদস্য ওসির সংস্পর্শে আসেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, করোনা আক্রান্ত হয়েও ওসির সরকারি আইন অমান্য করে প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরির কারণে এ উপজেলায় করোনা সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে। আবার সাধারণ জনগণও ওসির এমন আচরণে উৎসাহিত হবে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে উঠে এলে তাকে জেলা কোভিড-১৯ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, ওসি করোনায় আক্রান্ত হয়েও আইসোলেশনে না থেকে আসামি নিয়ে অভিযানে গিয়ে অন্যায় করেছেন এবং অন্যদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছেন। তাই তাকে প্রত্যাহার করে তার স্থলে নতুন ওসি হিসেবে মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে ৯ জুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে গিয়ে পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। পরে ১৫ জুন করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে এবং থানা ভবনের নিজ কক্ষে আইসোলেশনে চলে যান।