কুলিয়ারচরে নির্বাচনী প্রচারের সময় বুধবার সন্ধ্যায় হকিস্টিক দিয়ে বিএনপি প্রার্থীর পা ভেঙে দেয় পুলিশ। আহত প্রার্থী শরীফুল আলম গণসংযোগে বের হতে না পারলেও তার বাড়িতেই ছুটে আসছেন ভোটাররা।
কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি শরীফুল আলম। এ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, কুলিয়ারচর উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের চৌমুড়ী বাজারে বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচনী পথসভায় বক্তব্য রাখছিলেন শরীফুল আলম। এ সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাইক্রোবাসে করে সভার ভেতরে অতর্কিত হামলা চালায়। লাঠিসোটা নিয়ে পেছন থেকে বিএনপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিএনপি কর্মীরা জানিয়েছেন, সমাবেশে যোগ দেয়া নেতাকর্মীরা এ সময় কিছুই বুঝতে না পেরে দিগি¦দিক ছুটতে থাকেন। কুলিয়ারচর থানার এসআই আজিজুল হক হকিস্টিক দিয়ে শরীফুল আলমকে পেটাতে শুরু করলে একপর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মাটিতে পড়া অবস্থায়ই শরীফুলকে পিটিয়ে তার ডান পায়ের গোড়ালি ভেঙে দেয় পুলিশ। এ সময় শরীফুলকে বাঁচাতে গিয়ে বিএনপির অন্তত ৫০ নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন।
এ পরিস্থিতিতে গত তিন দিন ধরে নির্বাচনী প্রচারে বের হতে পারছেন না শরীফুল আলম। তবে আহত শরীফুল আলমকে একনজর দেখতে ও সমবেদনা জানাতে দলে দলে লোক ছুটে আসছেন তার বাড়িতে। ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর স্রোত। শরীফুল আলমও বাড়িতে আসা লোকজনের সাথে কুশলবিনিময় করে সময় পার করছেন। শনিবার সকালে শরীফুল আলমের বেতিয়ারকান্দি গ্রামের বাড়িতে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা যায়। দলীয় নেতাকর্মী আর সাধারণ মানুষের এমন স্বতঃস্ফূর্ততায় অভিভূত শরীফুল আলম নিজেও।
শরীফুল আলম বলেন, ‘আমার প্রচার বাধাগ্রস্ত করতে পরিকল্পিতভাবে পা ভেঙে দেয়া হয়েছে। আল্লাহ ছাড়া আমাদের আর বিচার চাওয়ার জায়গা নেই। আমি পায়ের ব্যথায় গ্রামে গ্রামে হেঁটে নির্বাচনী কাজ করতে পারছি না। মানুষ ভালোবাসার জায়গা থেকে আমার বাড়িতে ছুটে আসছেন।’