গত বছর শুষ্ক মৌসুমে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ইন্দোনেশিয়ার লাখ লাখ একর ভূমি ও বনাঞ্চল। একই ঘটনা যাতে এ বছরও না ঘটে সেজন্য আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। বিধ্বংসী আগুনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শুষ্ক মৌসুম তীব্র আকার ধারণের আগেই কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করছে দেশটি। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
খবরে বলা হয়, গত বছর বিষাক্ত ধোয়ায় ভরে উঠেছিল ইন্দোনেশিয়ার আকাশ। বিমানবন্দর, শত শত স্কুল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল কর্তৃপক্ষ। পাশ্ববর্তী দেশ মালয়েশিয়ার সঙ্গে সৃষ্টি হয়েছিল কূটনৈতিক জটিলতাও। আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল অসংখ্য প্রাণীদের বাসস্থান। বেড়ে গিয়েছিল শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। সবমিলিয়ে প্রায় ৫২০ কোটি ডলার অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার হয়েছিল ইন্দোনেশিয়া।
চলতি বছরও একইরকম আগুন লাগার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) মহামারির মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়লে তা ‘মরার উপর খড়ার ঘা’ পরিস্থিতি হয়ে উঠতে পারে ইন্দোনেশিয়ার জন্য। তাই আগেভাগেই সে আগুন মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে দেশটি। ইন্দোনেশিয়ার পরিবেশ ও বন বিষয়ক মন্ত্রী সিতি নুরবায়া বলেন, আগুন-প্রবণ এলাকাগুলোয় সাম্প্রতিক মাসে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কৃত্রিম বৃষ্টিপাত হলো প্রকৃতির ওপর বৈজ্ঞানিক প্রভাব খাটিয়ে সংঘটিত জোর করে বৃষ্টি নামানো! এ জন্যে প্রথমে মেঘ সৃষ্টি করতে হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে এই মেঘকে ঘনীভূত করে বৃষ্টিপাতের উপযোগী অবস্থায় নিয়ে আসতে হয় এবং সবশেষে বৃষ্টি ঝরানো হয়। তবে সচরাচর আকাশে ভাসমান মেঘকে পানির ফোঁটায় পরিণত করেই কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানো হয়।
সিতি বলেন, সাধারণত জুন বা ঈদুল ফিতরের সময়কার আবহাওয়া আমাদের জন্য উদ্বেগজনক হয়ে থাকে। এ বছর আমরা একটু স্বস্তিতে আছি এখন পর্যন্ত। তবে আগস্টে শুষ্ক মৌসুম চরম আকার ধারণ করবে। ততদিন পর্যন্ত আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সকল সংশ্লিষ্ট পক্ষকে তাদের নজরদারি বাড়াতে হবে।