ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের পাড়াগাঁও বড়চালা গ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর স্থানীয় আব্দুল লতিফ ক্বারী সামাজিক গোরস্থানে দাফন করতে বাধা দেন। পরে মৃতের ছোট ভাই ৯৯৯ হেল্প লাইনে ফোন করে ভালুকা থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে মৃতের লাশ দাফন করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশের উপস্থিতিতে ভালুকার ত্বাকওয়া ফাউন্ডেশনের সদস্যরা তার লাশ দাফন করেন।
স্থানীয়রা জানায়, ওই ইউনিয়নের পাড়াগাঁও বড়চালা এলাকার বাসিন্দা আলম সম্প্রতি ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসার পর বেশকিছু দিন যাবৎ জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তিনি সকালে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে নিজ বাড়িতেই মারা যান।
তার মৃত্যুর পর লাশ দাফনের জন্য বড়চালা হোসাইনিয়া দাখিল মাদারাসা সংলগ্ন স্থানীয় সামাজিক গোরস্থানে মৃতের স্বজনরা কবর খোঁড়তে যান। এ সময় স্থানীয় আব্দুল লফিত ক্বারী গোর খোদককে বাধা দেন। পর পর দুইবার চেষ্টা করার পর মৃতের ছোট ভাই শরীফ ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করেন।
পরে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে কবর খোঁড়ার ব্যবস্থা করে। দিনব্যাপী কবর খোঁড়া নিয়ে জটিলতা শেষে সন্ধ্যায় ভালুকা ত্বাকওয়া ফাউন্ডেশনের টিম লিডার মামুন-অর-রশিদের নেতৃত্বে আলমের লাশ সামাজিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
মৃতের ছোট ভাই শরীফ জানান, আমার দাদা ওই গোরস্থানে ৭ শতাংশ জমি দান করেছেন। সেই গোরস্থানে আমার দাদা, বাবাকে কবর দিয়েছি। লতিফ ক্বারী আমার ভাইয়ের কবর দেয়ায় বাধা দেন।
আব্দুল লতিফ ক্বারী সামাজিক গোরস্থানে কবর দিতে বাধা দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ইতিপূর্বে কেউ বিষপান ও ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছে তাদের লাশ এ গোরস্থানে দাফন করতে দেইনি। প্রশ্ন করা হয়,আলম তো আত্মহত্যা করেনি তাহলে তার লাশ দাফনে বাধা দিবেন কেন? এ কথা শোনার পর তিনি বলেন,আমি একজন হুজুরের কাছে জেনে নেই বলেই ফোনটা কেটে দেন।
ত্বাকওয়া ফাউন্ডেশনের টিম লিডার মামুন-অর-রশিদ জানান, আমরা আট সদস্যের একটি টিম এসেছি। লাশ দাফনে স্থানীয় একব্যক্তি বাধা দেন। পুলিশ আসার পর আমাদের লাশ দাফনের আর কোনো সমস্যা হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ কামাল জানান, স্থানীয় এক লোক লাশ দাফনে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও পুলিশ উপস্থিত হয়ে তার সঙ্গে কথা বললে তিনি আর বাধা দেননি।