ময়মনসিংহে করোনার রূপ দিনে দিনে বদল হচ্ছে। চিন্তা সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা। স্থানীয় প্রশাসন করোনা রোধে তৎপরতা চালালেও বিভাগের মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। করোনা প্রতিরোধে মানুষের মাঝে সচেতনতা নাই বললেই চলে। এদিকে দিনের পর দিন ময়মনসিংহে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্ধিঘ্ন বিভাগের সচেতন মহল। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আর কি করা যায় তা নিয়েও বেশ সরব রয়েছে জেলা প্রশাসন থেকে বিভাগীয় প্রশাসন। তবে গত দু’দিন ধরে যে হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ময়মনসিংহ বিভাগ মারাত্বক ঝুঁকিতে রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত বিভাগে মোট ২ হাজার দুইশত ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ময়মনসিংহ বিভাগে মোট ১ কোটি ১৪ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৮৩ জনের জন্য প্রতিদিন ৫০০-৭০০ নমুনা টেস্ট হওয়া খুবই নগন্য।
সঠিক আক্রান্তের সংখ্যা নিরূপনের জন্য প্রয়োজন আরো অধিক হারে নুমনা পরীক্ষা করা ও প্রয়োজনে নতুন করে আরো ল্যাব স্থাপন করা।
ময়মনসিংহ বিভাগে প্রথম দিকে করোনা শনাক্তের সংখ্যা খুব কম থাকলেও ধাপে ধাপে তা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এ সংখ্যা নিয়ে সঠিক তথ্য দেয়া সম্ভব নয়। কারণ, বিভাগে প্রতিদিন যেহারে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে তাতে সঠিক আক্রান্তের সংখ্যা নিরূপন করা খুবই কঠিন কাজ। তবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিদিন বিভাগের পিসিআর ল্যাবগুলোতে ৫ হাজার নমুনা পরীক্ষা হলে আনুমানিকভাবে করোনায় আক্রান্তের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা পাওয়া যেত। যেহেতু এখন প্রতিদিন ৫০০-৭০০ নমুনা পরীক্ষার মধ্যেই পিসিআর ল্যাবগুলোর সীমাবদ্ধতা সেহেতু ওইসব নমুনা থেকে ২০০-৩০০ শনাক্ত হলে তাও কিন্তু সংখ্যার দিকে কম নয়। আরো বেশি নমুনা সংগ্রহ করে প্রতিদিন পরীক্ষা করা গেলে করোনায় বিভাগের অবস্থান কি তা স্পষ্ট হতে পারে।
এদিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে মঙ্গলবার ৫৬৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ২১৯ টি নমুনাতেই কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় ১৪৭ জন ( পুন: পরীক্ষা ২জনের সহ), শেরপুরে ১০জন, জামালপুরে ৩৯জন ও নেত্রকোনায় ২০জন রয়েছেন। এনিয়ে ময়মনসিংহ জেলায় ১২০৬ ( পুন: পরীক্ষা ২জনের সহ) জন, জামালপুর জেলায় ৪৫৫ জন, নেত্রকোনা জেলায় ৩৬৬ জন এবং শেরপুর জেলায় ১৯৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
ময়মনসিংহ বিভাগে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ২ হাজার ২১৮ জন শনাক্ত হলেও সাধারণ মানুষের মাঝে করোনার কোন প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। হু হু করে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়লেও সচেতনতার অভাব থাকায় বিভাগের সাধারণ মানুষ করোনার বয়াবহতা সম্পর্কে এখনও অসচেতন। তাই আরো জনেসচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার বলে মনে করছেন বিভাগের সচেতন সমাজ।