ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পাঁচটি সরকারি কার্যালয় ও একটি অস্থায়ী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষার মওসুমে ভবনের সামনে ও মাঝে পানি জমে থাকে। দুর্ভোগে আছে কার্যালয়গুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সাধারণ জনগণ।পত্র পত্রিকায় এ বিষয়ে প্রতিবেদন ছাপা হলেও গত এক বছরে অবস্থার উন্নতি হয়নি।
রোববার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরিষদের কম্পাউন্ডের ভেতর কোর্ট ভবনের পুরাতন ভবনে গুরুত্বপূর্ন পাঁচটি সরকারি কার্যালয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন, যুব উন্নয়ন অফিস, পরিসংখ্যান অফিস, পাট কর্মকর্তার কার্যালয় ও সালটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় ।উপজেলা পরিষদের নতুন ভবণ কিংবা পুরাতন ভবনেও স্থান হচ্ছেনা তাদের। কোর্ট ভবনের পুরাতন ভবনে চালাচ্ছেন তাদের দাপ্তরিক কাজ।এই ভবনের সামনে ও মাঝে হাঁটুপানি জমে আছে। অথচ পানি নিষ্কাশনের জন্য কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় মাসের পর মাস পানি জমে থাকে ভবনের সামনে ও মাঝে। জমে থাকা পানিতে মশা বংশ বিস্তার করছে।প্রতিদিন অসংখ্য উপকারভোগী কার্যালয়গুলোতে আসে। কিন্তু এসেই চরম বিড়ম্বনায় পড়েন তারা। হাঁটু পর্যন্ত কাপড় তুলে, জুতা হাতে নিয়ে ভবনের ভেতরে ঢোকেন। কিছুক্ষন ভবনের ভেতরে বসে থাকলেই মশার উপদ্রপ টের পাওয়া যায়। এনিয়ে পত্র পত্রিকায় লেখালেখি হলেও কৃতপক্ষ দায় সারা।কতৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কাদাপানির মধ্যদিয়ে আমরা অফিসে যাওয়া আসা করি।আমরা চাকরি করি, আমাদের তো যেকোনো অবস্থায় অফিসে আসতেই হবে।উপজেলা পরিষদের নতুন ভবনে পুরাতন ভবন থেকে অনেক দপ্তর সরিয়ে নেয়া হয়েছে। পুরাতন ভবনে জায়গা থাকা সত্বেও আমাদের কোন ভাল জায়গা দেওয়া হচ্ছে না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহবুব উর রহমান বলেন, ‘এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা বলতে পারবো না। উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেন তিনি বলতে পারবেন।’
উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ‘পৌর কতৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে’।