করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশের আরও দুই সদস্য প্রাণ হারালেন। তারা হলেন- উপপরিদর্শক এস. এম. মুকুল মিয়া (৫৫) এবং কনস্টেবল মো. আবুল হোসেন আজাদ (৫১)। সোমবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মৃত্যুবরণ করেন।
করোনায় এ নিয়ে পুলিশের ২৭ জন সদস্য প্রাণ দিলেন। তাদের মধ্যে একজন র্যাবে কর্মরত ও একজন সিভিল স্টাফ ছিলেন।
সোমবার প্রাণ হারানো উপপরিদর্শক মুকুল মিয়া রাজধানীর খিলগাঁও থানায় এবং কনস্টেবল আজাদ উত্তরার আজমপুর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা জানান, এস. এম. মুকুল মিয়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পুলিশের ভাড়া করা ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার বেলা ১১টার দিকে সেখানেই তিনি মারা যান। আর কনস্টেবল আজাদ করোনাক্রান্ত হয়ে রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, উপপরিদর্শক মুকুল মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলেসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া থানার চরকুলী গ্রামে। অপরদিকে কনস্টেবল আজাদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার মদন থানাধীন জয়পাশা গ্রামে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়েসহ অনেক আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব রেখে গেছেন।
পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি মো. সোহেল রানা জানান, পুলিশ বাহিনীর উদ্যোগে দুই পুলিশ সদস্যের মরদেহ তাদের নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে জানাজা শেষে মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।