বিস্ফোরক দিয়ে ফিলিস্তিনি এক মহিলার বাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী- যার পাঁচ সন্তানই বর্তমানে ইসরাইলের কারাগারে বন্দী। পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরের পাশ্ববর্তী আমরি উদ্বাস্তু শিবিরে অবস্থিত এই বাড়িটি। আরেক সন্তান নিহত হয়েছে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে।
ওই অঞ্চলে দায়িত্বরত তুরস্কের আনাদোলু বার্তা সংস্থার এক রিপোর্টার আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, শনিবার ভোররাতে ইসরাইলি সৈন্যরা উদ্বাস্তু শিবিরটিতে অভিযান চালায়। অনেকক্ষণ ভবনটি ঘিরে রাখার পর তারা সেটি গুড়িয়ে দেয়।
ইসরাইলি সৈন্যরা চারতলা ভবনটি গুড়িয়ে দিতে চাইছে বুঝতে পেরে কয়েক ডজন সাংবাদিক ও সমাজকর্মী ভবনটি ভিতরে প্রবেশ করে। কিন্তু তাদের বের করে দিয়ে তারপর ভবনটি ভেঙে ফেলে দখলদার বাহিনী।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বার্তা সংস্থা এএফপির এক রিপোর্টার জানিয়েছেন, এক নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণে পুরো ভবনটি গুড়িয়ে দেয়া হয়। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, শীতের রাতে নারী শিশুসহ বাড়িটির কয়েকশ বাসিন্দাকে একটি খেলার মাঠে জড়ো হতে নির্দেশ দেয় ইসরাইলি সৈন্যরা। এরপর তারা অভিযান শুরু করে।
বিস্ফোরণে বাড়িটি গুড়িয়ে দেয়ার পর ইসরাইলি সৈন্যদের সাথে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষ বাধে। সৈন্যরা টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ও তাজা বিস্ফোরক ছুড়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় অন্তত ৫৬ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।
বাড়িটির মালিক লতিফা আবু হামিদের পাঁচ ছেলের সবাই এখন ইসরাইলের কারাগারে বন্দী। তাদের মধ্যে ইসলাম নামে এক ছেলের বিরুদ্ধে পাথর ছুড়ে এক ইসরাইলি সৈন্য হত্যার অভিযোগ এনেছে ইসরাইল। এক অভিযানের গত মে মাসে সময় সে বাড়ির ছাদ থেকে সেনাদের উদ্দেশ্যে পাথর ছুড়েছিল। এছাড়া লতিফার আরেক সন্তাকে ১৯৯৪ সালে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনারা।
বাড়ি গুড়িয়ে দেয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাড়ি ভেঙে আমাদেরকে দাবি, আমাদের স্বপ্নকে মাটিচাপা দেয়া যাবে না। আমার সন্তানের সবাই হয় শহীদ, নয়তো কারাবন্দী। তাতে আমি ভেঙে পড়িনি। এ নিয়ে তিনবার তার আমার বাড়ি ভাঙলো।