বিশ্বকাপে দলের ভরাডুবি, ফুড হ্যাবিট বিতর্ক, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে ‘হাই’ বিতর্ক, ফিটনেসে ঘাটতি, বাজে পারফরম্যান্স সবমিলিয়ে সরফরাজ আহমেদের দল থেকে বাদ পড়া যেন অনুমেয় ছিল। সেটি সত্য হলো, ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তান হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর। দলের অধিনায়কত্ব হারানোর পাশাপাশি জায়গাও হারালেন সরফরাজ।
তবে দীর্ঘদিন পর ইংল্যান্ড সফর দিয়ে আবার দলে ডাক পেলেন তিনি। এই সাবেক পাকিস্তান অধিনায়কের মতে, অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতিটাই বেশ কাজে দিয়েছে তাঁর। জানালেন, জাতীয় দলের বাইরে থাকার সময়ে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে পেরেছেন তিনি। ভুল-ত্রুটি ও ফিটনেস নিয়ে কাজ করে ফিরে পেয়েছেন নিজেকে।
ইংল্যান্ডের বিপক্কে তিন ম্যাচের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ২৯ জনের দলে সরফরাজকে যুক্ত করা নিয়ে পিসিবি বলেছে, ‘দলের দ্বিতীয় সেরা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে তাকে।’ তবে অক্টোবরে সব সংস্করণ থেকে বাদ পড়ে যাওয়া সরফরাজের জন্য এটা সুযোগও বটে।
বিরতির এই সময়ে দলের প্রধান কোচ ও নির্বাচক মিসবাহ-উল-হকের থেকে নিজেকে ফিরে পাওয়ার জন্য পরামর্শ নিয়েছেন ৩২ বছর বয়সী সরফরাজ। নিজের উন্নতির জন্য ব্যাপক কাজ করেছেন বলে জানিয়ে এই ক্রিকেটার বলেন, ‘আমি দল থেকে ছিটকে যাওয়ার পর বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত ছিলাম। এরপর শেষ এই তিন মাসে কোয়ারেন্টিনে প্রচুর ফাঁকা সময় ছিল। সুযোগ পেয়েছিলাম ফিরে দেখার এবং নিজের ফিটনেসের উন্নতি করে প্রত্যাশিত সুযোগের জন্য।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘মিসবাহ ভাইয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়। তিনি আমাকে ফিটনেসের উন্নতির জন্য এই সময়টা কাজে লাগানোর কথা বলেন। আর আমি যে ভুলগুলো করেছিলাম সেগুলো নিয়ে ভাবার তাগিদ দিয়েছিলেন। সবমিলিয়ে আমার উপলব্ধি হলো, জাতীয় দল থেকে এই ৭-৮ মাসের বিরতি খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে ফিরে পেতে আমাকে সাহায্য করেছে।’
ক্যারিয়ারে ৪৯ টেস্ট, ১১৬ ওয়ানডে ও ৫৮ টি-টোয়েন্টি খেলা সরফরাজ নিজের জায়গা হারিয়েছেন ২৮ বছর বয়সী মোহাম্মদ রিজওয়ানের কাছে। তবে এই নিয়ে আক্ষেপ নেই সরফরাজের। তিনি বলেন, ‘নব্বইয়ের দশকে দলে ছিলেন মইন খান ও রশিদ লতিফ। বিভিন্ন সময়ে তারা একে অন্যের চেয়ে ভালো খেলে দলে এসেছে। বর্তমানে রিজওয়ান ভালো খেলছে। আর তাই সে দলের প্রথম পছন্দ আর আমি ব্যাক-আপ। আসলে আমি ভুল করেছি বলেই তো আমি বাইরে। এখন আমি সুযোগের অপেক্ষায় আছি।’