কক্ষপথ পরিক্রমায় কিছু সময়ের জন্য পৃথিবী আর সূর্যের মাঝে চলে আসবে চাঁদ। ধীরে ধীরে চাঁদের আড়ালে ঢাকা পড়বে সূর্য। যদিও তা পুরোপুরি ঢাকা যাবে না। শেষ মুহূর্তে সূর্যের বাইরের অংশটি উজ্জ্বল বলয়ের মতো দেখা যাবে। দেখে মনে হবে, একটি আগুনের আংটি! এমন এক মহাজাগতিক দৃশ্যের দেখা মিলবে আগামী ২১ জুন। আগামী ২১ জুন ময়মনসিংহে ১টা ১২ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। সূর্যগ্রহণ শুরু হবে সকাল ৯টা ৪৬ মিনিট ৬ সেকেন্ডে কঙ্গোর ইম্পফোল্ডো শহরে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ শুরু হবে কঙ্গোর বোমা শহরে সকাল ১০টা ৪৮ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে। সর্বোচ্চ গ্রহণ ভারতের যোশীমঠ শহরে দেখা যাবে দুপুরে ১২টা ৪০ মিনিট ৬ সেকেন্ডে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ শেষ হবে ফিলিপাইনের সামার শহরে দুপুর ১টা ৩১ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে।
এদিন চাঁদ সূর্যকে পুরোপুরি আড়াল করতে পারবে না। তাই বিজ্ঞানীরা এবারের সূর্যগ্রহণের নাম দিয়েছেন নাম দিয়েছেন ‘রিং অব ফায়ার’। দৃশ্যটি সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে ভারতের যোশীমঠ শহর থেকে। বাংলাদেশ থেকেও আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। তবে সূর্যগ্রহণ খালি চোখে দেখতে নিষেধ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী আবহাওয়াবিদ রোনাকী খোন্দকার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, সূর্যগ্রহণ শুরু হবে কঙ্গোতে, সর্বোচ্চ গ্রহণ হবে ভারতে আর গ্রহণ শেষ দেখা যাবে ফিলিপাইনের আকাশে।
আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশের আকাশেও আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। ঢাকায় কেন্দ্রীয় গ্রহণ হবে দুপুর ১টা ১২ মিনিট ২৯ সেকেন্ডে, ময়মনসিংহে ১টা ১২ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে, চট্টগ্রামে ১টা ১৭ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে।
তাছাড়া, সিলেটে দুপুর ১টা ১৬ মিনিট ৫০ সেকেন্ডে, খুলনায় ১টা ৯ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডে, বরিশালে ১টা ১২ মিনিটি ৩২ সেকেন্ডে, রাজশাহীতে ১টা ৬ মিনিটি ২৬ সেকেন্ডে ও রংপুরে দুপুর ১টা ৭ মিনিট ২০ সেকেন্ডে কেন্দ্রীয় সূর্যগ্রহণ হবে।
বাংলাদেশে বিভিন্ন সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় সূর্যগ্রহণ দেখার আয়োজন করে থাকে। সূর্যগ্রহণ খালি চোখে দেখা ক্ষতিকর। তাই বিশেষজ্ঞরা খালি চোখে গ্রহণের দিকে তাকাতে নিষেধ করেন।