বাজেটে বিড়ি শিল্পের উপর ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে ময়মনসিংহে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
শনিবার সকালে বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনসহ কয়েকটি সংগঠনের উদ্যোগে নগরীর শহীদ ফিরোজ-জাহাঙ্গীর চত্বরে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন জেলা শাখার সভাপতি আসাদুজ্জামান সুমন, সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আইয়ুব আলী ও সদস্য রবিন মিয়া প্রমূখ। মানববন্ধনে প্রায় তিন শতাধিক বিড়ি শ্রমিক নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতি প্যাকেট বিড়িতে ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হয়েছে ৪ টাকা। যা শতকরা বৃদ্ধিহার ২৮.৫৭ %। অপরদিকে কমদামী সিগারেটে প্রতি প্যাকেটে দাম বৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ২টাকা। যা শতকরা বৃদ্ধির হার মাত্র ৫.৪১ %।
সিগারেটের চেয়ে বিড়িতে প্যাকেট প্রতি ২টাকা বেশি এবং শতকরা ২৩.১৬% বেশি। এটি বিড়ি শিল্পের উপর চরম বৈষম্যমূলক আচরণ। বিদেশী সিগারেট কোম্পানীকে সুবিধা দিতেই এ বৈষম্য করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বিড়ি শিল্প ধ্বংস করার জন্য যে গভীর ষড়যন্ত্র ছিল প্রস্তাবিত বাজেটে তা প্রতিফলিত হয়েছে।
সরকার একদিকে মুখে ধূমপান বন্ধের কথা বললেও সিগারেটের বাজার সহজলভ্য করে দিয়েছে। ফলে সরকার ধূমপান মুক্ত করার জন্য যে ঘোষণা দিয়েছে তার পরিবর্তে সিগারেটের ভোক্তা বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়াও মধ্যমস্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধি করা হয়নি। পাশাপাশি বেশি দামী সিগারেটে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি না পাওয়ায় কোম্পানীর আয়ের সীমা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সরকার বেশি ট্যাক্স প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ি শিল্পের উপর যে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে তা এ শিল্পের জন্য চরম হুমকি স্বরূপ। এর ফলে বিড়ি ফ্যাক্টরী সংখ্যা কমে যাবে। করোনা পরিস্থিতিতে বেকার হয়ে পড়বে লক্ষ লক্ষ বিড়ি শ্রমিক। এছাড়াও নকল বিড়ি বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে। সরকার রাজস্ব হারাবে।