ময়মনসিংহ বিভাগে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। তবে আক্রন্তদের অবস্থ্যা বেশি ক্রিটিক্যালী হলে আইসিইউ’র সুবিধা দেয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। বিনা চিকিৎসায় মারা যেতে পারে অনেকই। কারণ গতকাল বুধবার পর্যন্ত ময়মনসিংহ বিভাগে ১ হাজার ৬৫২ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় ৮২৯ জন, জামালপুর জেলায় ৩৬৬ জন, নেত্রকোনা জেলায় ৩১৫জন এবং শেরপুর জেলায় ১৪২ জন রয়েছেন। তবে ময়মনসিংহ বিভাগে করোনা আক্রান্তদের জন্য ময়মনসিংহ সূর্যকান্ত (এসকে) হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) আছে মাত্র ৫টি। যা আক্রান্ত রোগীর ঝুঁকির তুলনায় খুবই নগন্য। হাইকোর্টকে এ বিষয়ে অবহিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অথচ ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনার করোনা আক্রান্তদের জন্য মাত্র ৫টি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) স্থাপন করা হয়েছে ময়মনসিংহের এসকে হাসপাতালে। তাই পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে এই ৫ ইউনিট কতোটুকু সামাল দিতে পারবে তা নিয়ে আগেই ভাবা উচিত কর্তৃপক্ষের।
হাইকোর্ট সূত্রে জানা যায়, সারাদেশে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ১৭টি হাসপাতালে ২৩৫ টি আইসিইউ স্থাপন করা হয়েছে। যার মধ্যে নারায়ণগঞ্জের ৩০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপতালে ১০টি, মহানগর হাসপাতালে ৫টি, লালকুঠি হাসপতালে ৫টি, গোলাপগঞ্জ হাসপাতালে ১০টি, বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ৭টি, সিলেটের শহীদ শামসুদ্দি হাসপাতালে ৯টি, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ১০টি, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০টি, খুলনার জেলা হাসপাতালে ১০টি, বরিশাল জেলা হাসপাতালে ১০টি, রংপুর শিশু হাসপতালে ১০টি, ময়মনসিংহের এসকে হাসপাতালে ৫টি, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপতালে ১৬টি, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১৬টি, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ২৭টি, বসুন্ধরা আইসোলেশন হাসপাতালে ৫০টি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ফিল্ড হাসপাতালে রয়েছে ২৫টি আইসিইউ ইউনিট।
এদিকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে ময়মনসিংহে আরো ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) স্থাপন জরুরি হয়ে পড়ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত এব্যাপারে ব্যবস্থা নিবেন এমনটাই আশা করছেন ময়মনসিংহের সচেতন মহল।