আইসিইউ’র অভাবে চট্টগ্রামে সন্তানসম্ভবা এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১০ জুন) চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ফাতেমা আক্তার মুক্তা (৩০) নামের ওই নারী মারা যান। আইসিইউ বেড খালি না থাকায় ওই নারীকে সেবা দেওয়া যায়নি বলে জানান চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির।
মৃত নারীর ছোট ভাই মেহেদি হাসান জনি বলেন, ‘১৫ জুন আমার বোনের সন্তান প্রসবের তারিখ ছিল। তবে পাঁচ দিন আগে তার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এরপর ধীরে ধীরে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। এ সময় আপুকে নেবুলাইজার দিয়ে আমরা হাসপাতাল খুঁজতে থাকি। কিন্তু গত পাঁচ দিন ধরে কেউ আপুকে ভর্তি নেয়নি। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে গেলে সারাদিন সেখানে অপেক্ষা করার পর বিকালে তারা আমাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। চমেকে ভর্তি করানোর পর আপুর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এসময় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাতে পায়ে ধরেছি, কিন্তু কোনও সহযোগিতা পাইনি। পরে চিকিৎসকরা আপুকে আইসিইউতে নিয়ে যেতে বললে বুধবার রাতে আইসিইউতে নিয়ে যাই। সেখানে আইসিইউ সিট খালি না থাকায় সেবা না পেয়ে আপু মারা যায়।’
ফাতেমার করোনার কোনও লক্ষণ ছিল না বলেও জানান মেহেদি। তাদের দাবি, প্রসব গর্ভকালিন জটিলতায় ফাতেমা অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিষয়টি এমন নয় যে আমাদের শয্যা খালি ছিল, কিন্তু আমরা দেইনি। আমাদের হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা আছে মাত্র পাঁচটি। আর সেগুলোতে সবসময় রোগী থাকে। একজন রোগীকে আইসিইউ থেকে বের করে অন্যজনকে দেওয়ার সুযোগ নেই। এই কারণে ওই রোগীকে আইসিইউ সেবা দেওয়া যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর জন্য। কিছু শয্যা বাড়াতে পারলে আইসিইউ’র সংকট হয়তো কিছুটা কমবে। আরও কিছু মানুষের উপকার হবে।’