মিরপুরে শুক্রবার সকালে ড. কামাল হোসেনের গাড়িবহরে হামলার বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ৩০০ আসনে নির্বাচন হচ্ছে। যেসব নেতিবাচক ঘটনা ঘটছে, তা তুলনামূলক কম। তারপরও পুলিশকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে কেউ ইসিতে অভিযোগ করেননি। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীতে নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের হয়রানি না করতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইসি সচিব ব্রিফিংয়ে নির্বাচনের নানা দিক নিয়ে কথা বলেন।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের পুলিশ গণহারের গ্রেপ্তার করছে—ইসির কাছে বিএনপি এমন অভিযোগ করেছিল। এ ব্যাপারে হেলালুদ্দীনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিষয়গুলো ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটি তদন্ত করে ইসিতে প্রতিবেদন পাঠাবে। কমিশন থেকেও পুলিশকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সিনিয়র কোনো নেতাকে যেন হয়রানি না করা হয়। কিছু অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। সেগুলোর ব্যাপারের ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।
বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে ইসি সচিব আরও বলেন, যাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তাদের অনেকের নামে আগেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। কিন্তু তারা আত্মগোপনে থাকায় তখন গ্রেপ্তার করা যায়নি। এখন নির্বাচন উপলক্ষে যাঁরা প্রকাশ্যে আসছেন পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে।
নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এখনো বাকি। অন্য সবার প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশের কারণে প্রার্থী বাড়ছে। ইসিকে এসব প্রার্থী–সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সম্পন্ন করতে হচ্ছে। প্রার্থীদের এসব কাজ শেষে হলে ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজ শুরু হবে। তবে ভোট গ্রহণের সাত দিন আগেই ব্যালট নির্বাচনী এলাকাগুলোতে চলে যাবে।
সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, ১০ দিনের জন্য সেনা মোতায়েন হবে। তাদের কাজ হবে সিভিল প্রশাসনকে সাহায্য করা। সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিচারের এই ক্ষমতা নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমদের।
ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহার প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, ‘শুধু প্রিসাইডিং অফিসার ও পুলিশ ব্যবহার করতে পারবে। অন্যরা বহন করতে পারবে কিন্তু ব্যবহার করতে পারবে না। তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মাঠ থেকে এই ধরনের প্রস্তাব এসেছে। আমরা তা কমিশনে পাঠাব। কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে। এবার ভিন্ন প্রেক্ষাপটে নির্বাচন হচ্ছে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে। সব দল নির্বাচনে আসছে। তাই মোবাইল ব্যবহারের ব্যাপারে এমন প্রস্তাব এসেছে।’