ময়মনসিংহের ভালুকার নলুয়া কুড়ি গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান উগ্রবাদী বই, বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও লিফলেটসহ ৩ জন নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি (জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ) এর সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে র্যাব–১৪ এর সিপিএসসি (ক্রাইম প্রিভেনশন স্পেশালাইজড কোম্পানী)।
র্যাব–১৪ সিপিএসসি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ভালুকার নলুয়া কুড়ি গ্রাম এলাকায় জনৈক মোঃ আমছার আলী মন্ডলের বাড়ীর পূর্ব পার্শ্বে পরিত্যক্ত টিনসেড ঘরের ভিতরে কতিপয় নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি’র সদস্যগণ একত্রিত হয়ে নাশকতা করার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করছে। উক্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব–১৪, সিপিএসসি এর আভিযানিক দল ১০ জুন ২০২০ খ্রিঃ তারিখ রাত ০২.৫৫ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর সময় আসামী ১। মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম (৪৪), পিতা–মৃত আব্দুল করিম, সাং–ঢাকুরিয়া, থানা–ভালুকা, জেলা– ময়মনসিংহ ২। রুহুল আমীন তালুকদার তৌফিক (৪২), পিতা– মোঃ আতাউর রহমান তালুকদার, সাং–বাটাজোড়, থানা–ভালুকা, জেলা–ময়মনসিংহ ৩। আশরাফ খান (৪০), পিতা মৃত– শামছুজ্জামান খান, সাং– ইছাদিঘী, থানা–সখীপুর, জেলা–টাঙ্গাইলদের আটক করা হয় এবং তাদের হেফাজত থেকে বিপুল পরিমান উগ্রবাদী বই, বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও লিফলেটসহ ০৪ টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এ সময় অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা যায় যে, দীর্ঘদিন যাবৎ তারা বিভিন্ন ইসলামি মুফতি যেমন জামিলুদ্দীন, জসীমুদ্দীন রাহমানীসহ প্রভৃতি বক্তার বয়ান শুনত এবং এইসব শুনে তারা উগ্রবাদের প্রতি উদ্ভুদ্ধ হয় ও জেএমবি এর সমর্থক এবং সক্রিয় সদস্য হয়ে উঠে। তারা একই চিন্তা–চেতনার অধিকারী হওয়ায় তাদের মধ্যে একে অপরের সাথে অল্প সময়ের মধ্যে সখ্যতা গড়ে উঠে এবং উগ্রবাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে নাশকতার প্রতি উদ্ভুদ্ধ হয়। উল্লেখিত আসামীগণ নিজেদেরকে জেএমবি এর সক্রিয় সদস্য হিসাবে পরিচয় দেয়। আসামীগণ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের জন্য বিভিন্ন কৌশলে কাজ করত এবং সংগঠনের জন্য নিয়মিত চাঁদা (ইয়ানত) উত্তোলন করে সংগঠনের তহবিল সংগ্রহে ভূমিকা রাখত। এ ছাড়াও সংগঠনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে তাদের যেকোন নাশকতামূলক কর্মকান্ডের পরিকল্পনা ছিল । এ ঘটনায় আসামীদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানায় মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।