ঢাকাFriday , 14 December 2018
  1. Correspondent
  2. English News
  3. আজকের ময়মনসিংহ
  4. আদালত
  5. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  6. ইসলাম ও জীবন
  7. এক্সক্লুসিভ ময়মনসিংহ
  8. করোনা আপডেট
  9. করোনায় সহযোগীতা
  10. খেলার সংবাদ
  11. চাকুরী
  12. ছবি গ্যালারী
  13. জাতীয় অহংকার
  14. জাতীয় নির্বাচন ২০১৮
  15. জাতীয় সংবাদ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

‘আমাদের ওপর হামলা করার দুঃসাহস দেখাল ওরা!’

Link Copied!

‘এটা খুব দুঃখজনক, মর্মান্তিক! আমার ৬০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে আমি অনেক হামলা মোকাবেলা করেছি। কিন্তু, এই ধরনের হামলা— যেখানে ড. কামাল হোসেনসহ আমাদের ওপর হামলা করার দুঃসাহস দেখাল ওরা, এটা কল্পনার বাইরে।’ শুক্রবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আ স ম আব্দুল রব এই কথা বলেন।

এছাড়া শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ড. কামাল হোসেন ও আ স ম আব্দুর রবের গাড়ি বহরে হামলা এবং কর্মী সমর্থকদের পিটিয়ে আহত করার ঘটনাকে পরিকল্পিত ঘটনা হিসেবে দেখছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ফ্রন্টের নেতাদের অভিযোগ, ভোটের মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্যই এ হামলা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন, আ স ম আব্দুর রব,  নজরুল ইসলাম খান, মাহমুদুর রহমান মান্না, সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু ও ড. রেজা কিবরিয়া।

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে পায়ে হেঁটে বের হবার সময় দেখলাম একটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এখন আপনারা রব সাহেবের মুখে শুনবেন, আমি বেরিয়ে যাওয়ার পর কী ঘটেছে।’

ড. কামাল হোসেন এই স্বাগত বক্তব্যের পর আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘এটা খুব দুঃখজনক, মর্মান্তিক! আমার ৬০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে আমি অনেক হামলা মোকাবেলা করেছি। কিন্তু, এই ধরনের হামলা— যেখানে ড. কামাল হোসেনসহ আমাদের ওপর হামলা করার দুঃসাহস দেখাল ওরা, এটা কল্পনার বাইরে।’

তিনি বলেন, ‘হামলা এই কারণেই যে, আমরা যেন ৩০ তারিখের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াই। কিন্তু, ড. কামাল হোসেন, আ স ম আব্দুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, কাদের সিদ্দিকী ভয় পাওয়ার লোক না। আমরা ১৯৭১ সালে ৯ মাস যুদ্ধের মাঠে ছিলাম। সুতরাং আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে ভোটের মাঠ থেকে তাড়ানো যাবে না।’

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘আমাদের নেতা ড. কামাল হোসেন, বিএনপির ঢাকা মহানগরের নেতা আব্দুস সালাম, রেজা কিবরিয়া, আমাদের প্রার্থী ব্যারিস্টার বাদল, কায়সার, আফ্রিদসহ আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করার পর সাংবাদিকদের সাথে আমাদের নেতারা কথা বললেন। কথা শেষ করে আমরা যখন বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের প্রথম গেটের পর মধ্যখানের গেটে এসে উপস্থিত হয়েছি, তখন তারা ব্ল্যাংক ফায়ার করেছে ভয় দেখানোর জন্য। এরপর ইট-পাটকেল, লাঠি, হকিস্টিক নিয়ে হামলা করেছে। আমার ড্রাইভার যদি সাহস করে গাড়ি না চালাত, তাহলে আমার কী হতো, সেটা বলতে পারব না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচন করতে চাই। আমরা আজ শহীদ বুদ্ধিজীবীর মাজারে যাব, ওরা (সরকার) তা জানত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ফুল দিয়ে চলে আসার পর সব পুলিশ তুলে নেওয়া হলো। আমাদের ওপর যখন হামলা হয়, ভেতরে তখন কোনো পুলিশ ছিল না— এটা পরিকল্পিত।

রব বলেন, ‘আমাদের কর্মীদের এখন আমরা প্রতিরোধের নির্দেশ দিচ্ছি না। আমাদের নেতার নির্দেশ- শান্ত থাকতে হবে, সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করতে হবে। আমরা ৩০ তারিখে জনগণকে সাথে নিয়ে ব্যালট বিপ্লব ঘটাতে চাই। আমরা ব্যালটে যুদ্ধ করতে চাই, ব্যালটে লড়াই করতে চাই। স্বৈরশাসনকে বাংলাদেশ থেকে বিদায় করতে চাই।’

‘এ লড়াই জনগণের অধিকার, কর্তৃত্ব, সাংবিধানিক মালিকানা প্রতিষ্ঠার লড়াই। এই লড়াইয়ে আমাদের জিততে হবে। আমরা মরব, সরব না’— বলেন আ স ম আব্দুর রব।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, গণফোরাম নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিদসহ অন্যরা।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।