জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, তারা বুঝে গেছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তাদের পরাজয় হবে। তাই ড. কামাল ও আমার ওপরসহ সারাদেশে নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের ওপর হামলা শুরু করেছে। কিন্তু আমরা নির্বাচনে থাকবো। তাই ছোট খাটো সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে এক হয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষে ভোট চাইতে হবে। আজ শুক্রবার সকালে বগুড়া শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনে শহর বিএনপির কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
উপস্থিত নেতাকর্মী ও সাধারণ নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, ভোটের দিন সকালে নিজে ভোট দেবেন এবং ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে ধানের শীষে ভোট নেবেন। সারাদিন ভোট কেন্দ্র পাহারা দেবেন। ফলাফল না নিয়ে বাড়ি যাবেন না। কেউ যেন ভোট চুরি করতে না পারে। জনগণের ভোট রক্ষা হলে বিজয় আমাদের নিশ্চিত।
বগুড়া সদর আসনের ধানের শীষের প্রার্থী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন। এসময় দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল তার বক্তব্যের শুরুতে বলেন, আমি কোনো প্রার্থী নই, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতিনিধি।
তিনি বলেন, শুধু প্রার্থীদের উপর হামলা নয়, শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধে ড. কামাল, আ স ম রবসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা করেছে আওয়ামী লীগ। রব সাহেব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মির্জা ফখরুল বলেন, তফসিল ঘোষনার পর কেউ গ্রেফতার হবে না বলে সংলাপে প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ সারাদেশে গণগ্রেফতার চলছে। এজন্য একদিন জবাবদিহি করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারের ইশারায় নির্বাচন কমিশন চলছে। তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি। আমরা হামলার অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এর জবাবও দিতে হবে।
মির্জা ফখরুল বিকেলে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ধানের শীষের পক্ষে পথসভা ও গণসংযোগ করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।