পিছিয়ে যাচ্ছে সমাপনী ও জেএসসি পরীক্ষাও

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে তা পিছিয়ে গেছে। কবে পরীক্ষা শুরু হবে তাও অনিশ্চিত।

এবার অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে প্রাথমিকের সমাপনী ও অষ্টম শ্রেণির জেএসসি পরীক্ষা নিয়েও। নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও পাঠদান কার্যক্রমসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সেটি সঠিক সময়ে নেওয়া সম্ভব হবে না।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার কারণে শিক্ষার সময়সূচিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। প্রায় ৩ মাস ধরে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই সিলেবাস অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সেপ্টেমবরের আগে প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব নয় বলে আভাস দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ছয় মাসের এ বন্ধে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের সিলেবাসের কী হবে আর পরবর্তী শ্রেণিতে পদোন্নতির মূল্যায়ন বা অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা নেওয়া হবে কীভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের।

এ অবস্থায় জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) থেকে শিক্ষাবর্ষ দু’মাস বাড়িয়ে সিলেবাস শেষ করে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেটি অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলতি বছরের পাঠ্যবইয়ের ওপর পাঠদান করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘করোনা সংকটের মাঝেও আমরা এসএসসি ফল প্রকাশ করতে পেরেছি। কারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে আসতে হয়নি এজন্য। কিন্তু জেএসসি, এইচএসসিসহ যেকোন পাবলিক পরীক্ষা নিতে হলে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে হবে। যার কারণে আমরা এখনও এসব পরীক্ষার বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।‘

তিনি বলেন, ‘আগামী দু’এক মাসের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবকি হলে শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করে তারপর পরীক্ষা নিতে হবে। এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই এসব পরীক্ষা পিছিয়ে যাবে।’ তবে পরিস্থিত স্বাভাবিক হলে কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে সেটি এখনো ঠিক করা হয়নি বলে জানান চেয়ারম্যান।

Share this post

scroll to top