বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি আজ অনুষ্ঠিত হবে। ম্যাচটি সিলেটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। সিলেটের মাটিতে এর আগে কোনো ওয়ানডে ম্যাচ হয়নি।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৫ উইকেটের জয় পেয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই হোপ, যিনি ১৮৯ রান তুলেছেন। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই হোপ, যিনি ১৮৯ রান তুলেছেন বাংলাদেশের হয়ে মুশফিকুর রহিম দুটি অর্ধশতক তুলে ১১৭ রান তুলেছেন।
মূলত সেই হোপের অপরাজিত ১৪৬ রানের ইনিংসেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয় দিয়ে সিরিজ সমতায় ফেরায়। যার ফলে তৃতীয় ম্যাচটি সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে পরিণত হয়েছে। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে কোন কোন বিষয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ম্যাচের গতিপথ
বাংলাদেশের ফিল্ডিং নিয়ে বেশ কথা উঠেছে এই সিরিজে
প্রথম দুটি ওয়ানডে ম্যাচে মোট ছয়টি ক্যাচ ফেলেছে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। প্রথম ম্যাচে ৩টি ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৩টি ক্যাচ মিস করেছে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। এর মধ্যে দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৯তম ওভারে কিমো পল ব্যাট করতে নামেন। তার ক্যাচ ৪৩.২ বলে একবার ও ৪৮তম ওভারের শেষ বলে দুবার মিস করে। কিমো পল ও সেই হোপের পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটিতেই মূলত শেষ পর্যন্ত হেরে যায় বাংলাদেশ।
ব্যাটিং অর্ডারে হেরফের
বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ইকবালের নিয়মিত সঙ্গীর খোঁজে আছে টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু এখনো যুতসই কোনো উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তার সাথে থিতু হতে পারেননি। এবারের ওয়ানডে সিরিজে একই সাথে চারজন ওপেনিং ব্যাটসম্যান খেলানো হচ্ছে। তামিম ইকবালের সাথে খেলছেন লিটন দাস, ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ বলেন, “চারটা ওপেনিং ব্যাটসম্যান না খেলিয়ে তিনটা ওপেনিং একটা মিডল অর্ডার খেলানোটাই ভালো। পাঁচটা সিম বোলার যদি ফর্মে থাকে তখন কি পাঁচজনকে খেলাবেন? সেটা করবেন না।”
“সৌম্য সরকার প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন টপ অর্ডারে ব্যাট করে, তাকে সাতে খেলানো হচ্ছে যেটা আনফেয়ার, ওপেনিং ব্যাটসম্যান সার্কেল পায়, ওভার দা টপ খেলে, যেটা মিডল অর্ডারে সৌম্য পারছেনা,” বলছিলেন ফারুক।
স্পিন বোলিং বাংলাদেশের শক্তি
টেস্ট সিরিজে দেখা গিয়েছে বাংলাদেশ মোট দুই টেস্টে মাত্র একজন পেস বোলার দিয়ে বোলিং করিয়েছে চার ওভার। দ্বিতীয় টেস্টে কোনো বিশেষজ্ঞ টেস্ট বোলারই ছিলেন না।
তাই ফারুক আহমেদের মতে, পেস বোলাররা ওয়ানডে ফরম্যাটে উইকেট নিলেও মূলত এখানে বাংলাদেশের চেষ্টা করা উচিৎ, যাতে স্পিনকে ব্যবহার করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইন আপকে ধাক্কা দেয়া যায়।
দ্বিতীয় ওয়ানডে, যেই ম্যাচটিতে বাংলাদেশ হেরে যায় সে ম্যাচেও বাংলাদেশের স্পিন বোলাররা ২০ ওভার ৪ বল বোলিং করে ৭৯ রান দেয়।