ময়মনসিংহ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ বদরুল আলম খান বদলি হয়েছেন। তবে তার বদলি নিয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছেন। মূলত প্রকৌশলী মোঃ বদরুল আলম খানকে নিয়মিত বদলির আলোকেই বদলি করা হয়েছে। তাকে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়নি। এদিকে প্রকৌশলী মোঃ বদরুল আলম খানকে বদলি পূর্বক পদোন্নতি দেয়া হতে পারে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। আর এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সার্কিট হাউসের টেন্ডার বাতিল হতে দেখা যায়নি। যা রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাইভেই রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে অপপ্রচার হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হলো, ময়মনসিংহের সার্কিট হাউস মাঠের বাউন্ডারি ও বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে টেন্ডার জারি করায় তাকে বদলি করা হয়েছে। সূত্রে জানাযায়, ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস মাঠে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের কোন ধরণের টেন্ডারই এখনও হয়নি। ময়মনসিংহে একধরণের উস্কানীমূলক পরিবেশ সৃষ্টির জন্যই একটি শ্রেণি মূলত সার্কিট হাউস মাঠ ও নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ বদরুল আলম খানকে নিয়ে বানোয়াট অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। অথচ ময়মনসিংহের উন্নয়নে সদ্য বিদায়ী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান ময়মনসিংহের সার্কিট হাউসের মাঠটিকে নান্দনিক উদ্যানে পরিনত করতে একটি উদ্যোগ নেন। তিনি ময়মনসিংহের উন্নয়নের জন্য ভূমি দস্যু ও অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে মাঠটিকে রক্ষা এবং একটি দৃষ্টিনন্দন উদ্যান সৃষ্টির লক্ষ্যে মাঠের চতুর্দিকের ৩ ফুট উচু একটি পাকা দেয়াল তৈরি করে তার উপরে ৩ ফুট উচু এস.এস এর সুদৃশ্য গ্রিল দ্বারা সাজানোর উদ্যোগ নেন। কিন্তু তার সেই উদ্যোগকে নষ্ট করতে ইতোমধ্যে ভূমি দস্যুরা মাঠের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। নানাভাবে বাঁধার সৃষ্টি করে এ উন্নয়ন কাজের। যে উদ্যোগটি গ্রহণ করে বিদায়ী বিভাগীয় কমিশনার ময়মনসিংবাসীকে একটি নান্দনিক, নিরাপদ,পরিবেশবান্ধব ও নয়নাভিরাম উদ্যান উপহার দিতে চেয়েছিলেন, সেই উদ্যোগ নাকি ময়মনসিংহের জন্য ক্ষতিকর! অথচ এই মাঠটিতে গরু ছাগলের অবাধ বিচরণসহ রাতের আধারে গাঁজাখোরদের আড্ডা দেয়ার অভিযোগও রয়েছে। ইতোমধ্যে মাঠের একাংশে গড়ে উঠেছে অনেক অবৈধ স্থাপনা। ক্রমান্বয়ে মাঠের বাকি অংশও ভূমিদস্যুদের কবলে পড়ার আশঙ্কা করে গেছেন বিদায়ী এ কমিশনার। ইতোমধ্যে একটি চক্র সফলও হতে চলছেন তাদের তৎপরতায়। তবে এব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শীঘ্রই ব্যবস্থা নিবেন এমনটাই জানিয়েছেন ময়মনসিংহের সচেতন নাগরিকরা।
অপরদিকে, প্রকৌশলী মোঃ বদরুল আলম খানকে নিয়ে যে অপপ্রচার করা হচ্ছে তা মূলত একধরণের অপরাধ। অথচ, প্রকৌশলী মোঃ বদরুল আলম খানকে যখন যেখানে বদলি করা হয়েছে সেখানেই গিয়েছেন এবং সম্মানের সাথে নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন। সবার সাথেই সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন— কখনো কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি। তিনি ময়মনসিংহে দায়িত্বপালন কালে ব্হু প্রতিকূল পরিবেশেও নিজের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট ছিলেন।
২০১৮ সালের ২৯ আগস্ট ময়মনসিংহ গণপূর্ত বিভাগে যোগদানের পর থেকে জনবান্ধব একজন কর্মকর্তা হিসেবে তাকে পেয়েছে ময়মনসিংহের মানুষ। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সম্প্রসারণ কাজের জন্য গণপূর্ত বিভাগ এখনও সুনাম বহন করছে। চারতলা করে ২টি ভবনের কাজ হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধির সুফল ভোগ করছে ময়মনসিংহবাসী। করোনা মহামারীতে এসকে হাসপাতালে আলাাদা ইউনিট স্থাপনসহ নার্সদের হোটেলের গুণগত মান উন্নয়নেও বেশ ভূমিকা রাখে গণপূর্ত বিভাগ।
এব্যাপারে প্রকৌশলী মোঃ বদরুল আলম খান বলেন, ‘আমাকে কোন ধরণের স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়নি। নিয়মিত বদলির আলোকেই বদলি করা হয়েছে। এক জায়গায় আর কতো। আমি আমার দায়িত্বে থেকে সাধ্যমতো ময়মনসিংহবাসীর পাশে থেকেছি। আমার বদলি সরকারি সিদ্ধান্ত। পদোন্নতির জন্যও সরকারি কর্মকর্তাদের বদলি করা হয়।’