পরীক্ষা আপাতত শেষ। চার ওপেনার নিয়ে খেলার যে পরীক্ষা নির্বাচকেরা করেছিলেন তা থেকে সরে এসেছেন তারা। সৌম্য সরকার আবার ফিরছেন টপ অর্ডারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ওয়ান ডেতে আজ টপ অর্ডারে খেলবেন বাঁ হাতি এ ব্যাটসম্যান।
প্রথম দুই ম্যাচে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। তিনি তিনে নেমে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। ফলে তিনি আজকের ম্যাচে নেই। মিডল অর্ডারে ফিরছেন মোহাম্মদ মিথুন। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আরো একটি পরিবর্তন আসছে। পেসার রুবেলের জায়গায় ফিরছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ। শেষ মুহূর্তে কোনো কারণে পরিবর্তন না এলে একাদশে ইমরুল কায়েস ও রুবেলের জায়গা যে হচ্ছে না সেটা অনেকটা চূড়ান্ত বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে ছিল চার ওপেনার। সেটি নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। সবচেয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হলো সৌম্যর ব্যাটিং পজিশন। আগ্রাসী এই ব্যাটসম্যান পেস ব্যাটারির বিপক্ষে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং করতে পারেন। ছন্দে থাকলে গুঁড়িয়ে দিতে পারেন প্রতিপক্ষের বোলিং লাইন। টপ অর্ডারই এই ব্যাটসম্যানের মূল জায়গা। এই সিরিজের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে তিনে নেমে সেঞ্চুরি করেছিলেন।
সব শেষ ওয়ান ডে সিরিজে শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরিও করেছিলেন তিন নম্বর পজিশনে খেলে। কিন্তু লিটন ও ইমরুলকে টপ অর্ডারে জায়গা দিতে এই সিরিজে সৌম্যকে ব্যাটিং অর্ডারে নামিয়ে আনা হয় নিচে। তৃতীয় ওয়ান ডের আগের দিন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, ডানহাতি-বামহাতি কম্বিনেশনের জন্য ওপেনিংয়ের তামিমের সাথে লিটনকে নামানো হয়। সিরিজে ইমরুলও টপ অর্ডারে। অধিনায়ক ইঙ্গিত দিলেন শেষ ওয়ানডেতে পরিবর্তন আসছে।
মাশরাফি বলেন, আমি সব সময় চাইব সৌম্য ওপেন কিংবা ওয়ান ডাউনে ব্যাটক করুক। যদি না ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন সমস্যা না হয়। সৌম্য থাকলে সুবিধা দলের জন্য। নির্দিষ্ট খেলোয়াড় কোন পজিশনে খেলতে ভালোবাসবেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ম্যাচের দিকে তাকালে দেখা যাবে ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন না ভাবলে ইমরুলই ওপেনিংয়ে পছন্দের তালিকায় প্রথম থাকত। ৩৫০ রান করার পরও (আগের সিরিজে) তাকে বসিয়ে রাখা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
তিনি আরো বলেন, আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা একেবারেই সঠিক। তা বলার সুযোগ নেই। তাহলে তো আমরা সব ম্যাচেই জিততাম। আমি প্রথম ম্যাচের আগেই বলেছিলাম সৌম্যর জন্য সেরা পজিশন হচ্ছে ওপেন অথবা তিন নম্বর। কারণ সে পেস বোলিংয়ে খেলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। কিন্তু এমন একটা পরিস্থিতি হয়েছিল যে, ওকে ৬-৭ এ খেলতে হয়েছে। তবে এটি অ্যাডজাস্ট করা জরুরি। তাহলে দলের জন্য তা ভালোই হবে।