৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫, পর্তুগালের মাদেইরার ফুঞ্চালে মারিয়া দোলরেস ও হোসে দিনিস অ্যাভেইরোর অভাবী সংসারে চতুর্থ সন্তান হিসেবে জন্ম ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। মাতাল স্বামী ঘরের খোঁজ রাখতো না বলে রোনালদোর মা মানুষের বাড়িতে রান্না ও গৃহস্থালীর কাজ করে উপার্জন করতো। তবে মাতাল হলেও একটা অসাধারণ কাজ করেছেন দিনিস অ্যাভোইরো। রোনালদোকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন ফুটবলের সঙ্গে।
আর এই ফুটবলে ভাগ্য বদলাতে থাকে রোনালদোর। অভাবের সময় পেরিয়ে স্বচ্ছলতার মুখ দেখে রোনালদোর পরিবার। ধীরে ধীরে রোনালদো হয়ে ওঠেন ফুটবল বিশ্ব্ব্বের মহীরুহ। আর বাড়তে থাকে তার উপার্জন। আর সেটা ঠিক এতই বেড়েছে যে, ফুটবল বিশ্বের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিয়ারে বিলিয়নিয়ারের খেতাব জিতে নিলেন রোনালদো। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্যমতে, ফুটবলের প্রথম ও বিশ্ব্বে তৃতীয় অ্যাথলেট হিসেবে বিলিয়নিয়ারের খেতাব জিতলেন রোনালদো।
৩৫ বছর বয়সী রোনালদো গলফ তারকা টাইগার উডস ও বক্সিং তারকা ফ্লয়েড মেওয়েদারের পর বিলিয়নিয়ারের ক্লাবে ঠাঁই করে নিচ্ছেন। করোনাভাইরাসের কারণে বেতন থেকে সাড়ে তিন মিলিয়ন ইউরো কাটা যাওয়া সত্ত্বেও গত বছর ৮৫ মিলিয়ন ইউরো আয় করেছেন রোনালদো। আর এটা তাকে মেসির আগে বিলিয়নিয়ার করেছেন। রোনালদোর চেয়ে তিন বছরের ছোট মেসিও সামনের বছর বেতন ও অন্যান্য এন্ডোর্সমেন্ট মিলিয়ে বিলিয়নিয়ার হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
রোনালদো তার ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৫০০ মিলিয়ন ইউর আয় করেছেন তার বেতন থেকে। আর বাকি উপার্জন আসে এন্ডোর্সমেন্ট থেকে। রোনালদ কেবল বিভিন্ন কোম্পানি নয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকেও নিয়মিত আয় করে থাকেন। ইনস্টাগ্রামে প্রতি পোস্টের জন্য রোনালদোর অ্যাকাউন্টে ঢুকে প্রায় ১ মিলিয়ন ইউরোর মতো। এর পাশাপাশি নিজের ব্যবসায়িক ব্র্যান্ড ‘সিআর৭’ তো আছেই।