ঢাকা-১(দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনের বিএনপির প্রার্থী খোন্দকার আবু আশফাকের গণসংযোগ মিছিলে লাঠিচার্জের ঘটনায় ১৬৩ জনকে আসামী করে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশের কাজে বাঁধা, নাশকতা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরক আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। দোহার উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রাশেদ চোকদার ও পৌরসভা যুবলীগের ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি বাদি হয়ে এ মামলা দুটি করেন। এ ঘটনায় বিএনপির প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাকসহ ১৮ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আহত হয় অন্তত ২৫ নেতাকর্মী।
আজ বৃহস্পতিবার দুুপুর ১২টায় আটককৃত আসামীদের আদালতে প্রেরণ করেছে দোহার থানা পুলিশ। তবে বিএনপির প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাককে রাতে ছেড়ে দেয় পুলিশ। বুধবার বিকেলে দোহারের লটাখোলা করম আলী মোড় থেকে ধানের শীষের প্রতীকের মিছিল বের হলে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বুধবার বিকেলে দোহার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনের বিএনপির প্রার্থী খোন্দকার আবু আশফাক। প্রচারণাকে কেন্দ্র করে উপজেলার লটাখোলা করম আলীর মোড়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল সহকারে সমেবত হয় নেতাকর্মীরা। পরে করম আলীর মোড় থেকে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে একটি মিছিল বের হয়ে উপজেলার প্রাণকেন্দ্র জয়পাড়া বাজারসহ প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
মিছিলের শেষ পর্যায়ে নেতাকর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এসময় পুলিশের উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে লটাখোলা করম আলীর মোড় থেকে পুলিশ বিএনপির প্রার্থী খোন্দকার আবু আশফাককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এছাড়া অন্তত আর ১৮ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। পরে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার লটাখোলা নতুন বাজার ব্রিজের ঢালে ও করম আলীর মোড়ে দুটি মটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুদ্ধ নেতা কর্মীরা।
এ বিষয়ে দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, বিএনপির প্রার্থী আবু আশফাককে আটক করা হয়নি। তাকে নিরাপত্তার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। রাতে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল ছুড়েছে। সন্ধ্যা ৬টায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দিন ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজের নেত্বেতে বিএনপি নেতারা আওয়ামীলীগ সমর্থকদের দুটি মোটর সাইকেলে অগ্নি সংযোগ করে। ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
এবিষয় দোহার উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহবুদ্দিন আহম্মেদকে মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ বলেন আমাদের অনুষ্ঠান হয়েছে বিকেলে আর মোটরসাইকেল অগ্নিসংযোগ দিয়েছে সন্ধায় আমাদের বিএনপির কোনো নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল অগ্নিসংযোগের সাথে জড়িত না।
এ বিষয়ে আবু আশফাকের সাথে সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে, তার সাথে কথা বলতে দেয়নি পুলিশ। আটক হওয়ার আগে নির্বাচনী গণ-সংযোগ মিছিল শেষে বিএনপির প্রার্থী খোন্দকার আবু আশফাক বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ থাকলে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় কেউ রুখতে পারবেনা। পুলিশ এখানো হুমকি-ধামকি, ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে যাচ্ছে নেতাকর্মীদের। পুলিশের এ ধরণের আচরণ সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়। মানুষ এখন পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে। যে কারনে ঢাকা-১ আসনে ধানের শীষের জোয়ার উঠেছে।